আগামী ১ জুলাই কার্যকর হতে যাওয়া নতুন ভ্যাট আইনের আওতায় আনা হচ্ছে ইন্টারনেট জায়ান্ট ফেসবুক, গুগল ও ইউটিউবের মতো প্লাটফর্মগুলো। এসব প্ল্যাটফর্মে দেয়া বিজ্ঞাপনের ওপর ট্যাক্স বসাতে এই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।সংশ্লিষ্টরা বলছেন,এর ফলে শিগগির কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশ তাদের অফিস খুলতে হবে বা প্রতিনিধি নিয়োগ দিতে হবে। যাদের কাছ থেকে সরকার ভ্যাট আদায় করবে।জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআরের ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের পরিচাকল সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন,ফেসবুক, ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট ইউটিউবের মতো জনপ্রিয় সাইট থেকে সরকার উল্লেখযোগ্য কোনও ভ্যাট পায় না।“প্রকৃত বাংলাদেশে এখনও তারা কোনও অফিস খুলেনি। কিন্তু এই আইন কার্যকরের ফলে এখন নতুন করে অফিস খুলতে হবে বা প্রতিনিধি নিয়োগ দিতে হবে।”ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন ই-ক্যাবের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৫০ হাজারের বেশি ফেসবুক পেজ ই-কমার্স ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। যদিও প্রকৃতপক্ষে এই সংখ্যা আরও বেশি।ই-ক্যাবের তথ্য অনুযায়ী, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রত্যেকটি মাসে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের পেছনে অন্তত ৮ ডলার থেকে ১০ হাজার ডলার ব্যয় করে থাকে। বছরে এই খরচা প্রায় ১ লাখ ডলার।যা থেকে সরকার তেমন কোনও অর্থ পাচ্ছে না।নতুন আইন কার্যকর হলে এখান থেকে মোটা অংকের রাজস্ব আদায় করতে পারবে সরকার।