মোঃ খোরশেদ আলম,কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ আলহাজ্ব মোঃ আবুল হোসেন মাষ্টার বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতির আদর্শকে বুকে লালন করে ছাত্র রাজনীতি করছেন ছাত্রজীবন থেকে। আলহাজ্ব মোঃ আবুল হোসেন মাষ্টার ১৯৫২ সালে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার ১৯নং দারোরা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী স্বনামধন্য একটি বিখ্যাত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন।তার পিতার নাম মৃত আবদুস ছোবাহান সরকার এবং মাতার নাম মৃত মোসাম্মাৎ খোদেজা বেগম।
আলহাজ্ব মোঃ আবুল হোসেন মাষ্টার বাল্যকাল থেকেই খুব শান্ত , ভদ্র ও নম্রস্বভাবের ছিলেন। পড়ালেখায় খুব মনোযোগী ও মেধাবী ছিলেন এবং পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাদুলায়ও পারদর্শী ছিলেন।১৯৬৯ সালে নিমসার উচচ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। আলহাজ্ব মোঃ আবুল হোসেন মাষ্টার এসএসসি পাস করেই ছাএলীগের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে মনোযোগী হয়ে পরেন।তিনি ১৯৭২ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন এবং ১৯৭৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রি পাস করেন। ১৯৯০ সালে কুমিল্লা সরকারি টিটি কলেজ থেকে বি-এড সম্পন্ন করেছিলেন।আলহাজ্ব মোঃ আবুল হোসেন মাষ্টার দারোরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক।তিনি ১৯৭৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত শিক্ষকতা করেছিলেন।
আলহাজ্ব মোঃ আবুল হোসেন মাষ্টার মুরাদনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সংগ্রামী তুখুর ছাত্রনেতা ছিলেন।পরবর্তীতে তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ছাত্র লীগের সাবেক সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ছিলেন এবং মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের দক্ষ ও কর্মীবান্দব সফল সাবেক প্রচার সম্পাদক ছিলেন এবং ১৯ নং দারোরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সফল সভাপতি ছিলেন।মুজিব আদর্শের সৈনিক, ড. শেখ হাসিনার রাজপথের লড়াকু সৈনিক, আলহাজ্ব ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন(এফসিএ) এমপি মহোদয়ের আস্তাভাজন আলহাজ্ব মোঃ আবুল হোসেন মাষ্টার। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
আলহাজ্ব মোঃ আবুল হোসেন মাষ্টার গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এফসিএ এর একান্ত অনুসারী ও আস্তা ভাজন হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলার লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নপূরণে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন লাভে সক্ষম হলে ১৯ নং দারোরা ইউনিয়নকে শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে অনন্য স্থানে নিয়ে যাবেন। মাদক, দূর্ণীতি, জুয়া, দারিদ্র্য মুক্ত ইউনিয়ন উপহার দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছর মার্চ থেকে শুরু হতে পারে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।
এদিকে সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী দৌড় ঝাপ শুরু করেছেন। চায়ের দোকান, পাড়া মহল্লা, মাঠঘাট, হাটবাজার সর্বত্র সাধারণ মানুষের মাঝে চলছে সরগরম আলোচনা।
দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় প্রার্থীদের দল থেকে মনোনয়ন নেয়ার জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য তৎপরতা শুরু করেছেন।
কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার আসন্ন ১৯নং দারোরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সকলের দোয়া ও সহযোগীতা চেয়েছেন মুরাদনগর উপজেলার ১৯নং দারোরা ইউনিয়নের হেভিওয়েট সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ আবুল হোসেন মাষ্টার।বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানদের সময় যেতে না যেতে মাঠ চুশে বেড়াচ্ছে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।
তার সাথে সাম্প্রতিক এক স্বাক্ষাৎকারে এসব কথা জানান,তিনি দীর্ঘদিন থেকে অত্র এলাকায় বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের সাথে, সাধারন মানুষের স্বার্থে উন্নয়ন মূলক কাজের সাথে জড়িত রয়েছেন। অনেক সময় নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী গরিব দুঃখী মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। তিনি মনে করেন, রাজনীতিতে ভিন্ন মতাদর্শ থাকতে পারে কিন্তুু উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমার মূল উদ্দেশ্য জনগনের সেবা করা।
এমন লক্ষকে সামনে রেখেই নির্বাচনীয় প্রচারনা চালাচ্ছে এই চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ আবুল হোসেন মাষ্টার। ১৯নং দারোরা ইউনিয়নে আলহাজ্ব মোঃ আবুল হোসেন মাষ্টার কে ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় এখানকার উঠতি ভোটাররা। স্থানীয় তরুণ প্রজন্মের নেতা-কর্মীদের সাথে আলাপের মাধ্যমে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি নির্বাচিত হলে জনগণ তাকে সব সময় কাছে পাবে এমন প্রত্যাশা। স্থানীয় লোকজন এমন একজন জনবান্ধব নেতাকেই ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়।
এ বিষয় জানতে চাইলে আলহাজ্ব মোঃ আবুল হোসেন মাষ্টার বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আর্দশে আদর্শিত হয়ে আওয়ামীলীগ করি। আর আওয়ামীলীগ হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ এলাকাবাসী চাইলে এবং দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রাথী হতে ইচ্ছুক। তবে এলাকাবাসীর পাশে এখনও আছি ভবিষতেও পাশে থাকব। তিনি আরো জানান, চেয়ারম্যান হলে ইউনিয়নের রাস্তা ঘাট উন্নয়ন, মাদক মুক্ত, সামাজিক উন্নয়ন সহ অবহেলিত মানুষের পাশে সব সময় থাকব।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অনেকেই বলেন, অত্যন্ত আস্থাভাজন ও তাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হিসেবে আলহাজ্ব মোঃ আবুল হোসেন মাষ্টার কে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসাব দেখতে চায়।সাধারণ মানুষের মধ্যে তার যে জনপ্রিয়তা রয়েছে তাতে তাকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিলে তার বিজয়ী হওয়া প্রায় সুনিশ্চিত
নির্বাচনীয় প্রতিচ্ছুতি মাদকমুক্ত একটি আধুনিক পরিকল্পিত শিক্ষাবান্ধব উন্নয়ন জনগণকে উপহার দেবেন, একটি মডেল ইউনিয়ন গড়ে তুলতে অঙ্গীকার বদ্ধ। অসহায় মানুষের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে তাদের কষ্ট এবং বিভিন্ন সামাজিক প্রতিবন্ধকতা গরীব- ধনীর তারতম্য খুব কাছ থেকে উপলব্ধি করবেন। যদি তিনি সুযোগ পান বিশেষ করে সমাজের অসচ্ছল অসহায় গরিব, বিধবা, বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য কাজ করবেন। গরীব-ধনির ভেদাভেদ কে সমাজ থেকে বিলুপ্ত করার লক্ষ্যে কাজ করবেন।
ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রাথী আলহাজ্ব মোঃ আবুল হোসেন মাষ্টার ইউনিয়ন এলাকাবাসির উদ্দেশ্যে করে বলেন- আমি যদি মহান আল্লাহর রহমতে নির্বাচিত হই ও আমার দেয়া প্রতিশ্রুতি পালন করবই ও অন্যান্য ইউনিয়ন থেকে পিছিয়ে পড়া ১৯নং দারোরা ইউনিয়ন কে এগিয়ে নিয়ে যাবো এবং একটি আধুনিক ডিজিটাল মডেল ইউনিয়ন গড়তে সবাইকে নিয়ে কাজ করবো।