ভিয়েতনামে ১৫ বাংলাদেশি দেশে ফিরতে দূতাবাসে যাওয়ার পথে আটকের খবর পাওয়া গেছে। বুধবার সকালে হো চি মিন এলাকা থেকে তাদের আটক করে দেশটির পুলিশ।
তাদের কর্মস্থল ও বসবাস এলাকা ভুং তাও এলাকা থেকে হ্যানয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের দূরত্ব প্রায় এক হাজার ৬৭৭ কিলোমিটার।
আটক বাংলাদেশিদের মধ্যে কয়েকজন গত কয়েকদিন ধরেই দেশে ফিরে আসার জন্য ভিয়েতনামে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগের চেষ্টা করছিলেন।
নাম প্রকাশ না করে আটক এক বাংলাদেশি জানান, ‘বাসে ওঠার সময় পুলিশ আমাদের আটক করেছে। সকাল থেকে পুলিশের হেফাজতে থাকলেও কোনও কিছু খেতে দেয়নি। আমাদের কাছে পাসপোর্ট চেয়েছে। কিন্তু আমরা দিতে পারিনি। কারণ, দালালরা আগেই আমাদের পাসপোর্ট রেখে দিয়েছে। পুলিশ আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে। আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি-আমাদের পাসপোর্ট আছে, তবে দালালের কারণে প্রতারিত হয়েছি।’
আটককৃতদের মধ্যে কয়েকজন জানান, যে কাজের কথা বলে তাদের নেওয়া হয় এবং যে পরিমাণ বেতন দেওয়ার কথা ছিল, তার কোনোটাই সঠিক ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে তারা দেশে ফিরে আসতে চান। আটক ১৫ বাংলাদেশির মধ্যে ১৪ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- সায়েফ, শফিক, চাঁদ আলী, মোমিন, কাদির, ইসমাইল, আলী, নজরুল, মামুন, শহীদ, আনোয়ার, রাজু, অমিক ও সজিব। আটক ১৫ বাংলাদেশির মধ্যে কয়েকজন পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি এজেন্সির মাধ্যমে চাকরি নিয়ে ভিয়েতনামে গেছেন।
এর আগে ভিয়েতনামে গিয়ে যথাযথ কাজ ও বেতন না পাওয়ায় ৩ জুলাই ২৭ জন, ১২ জুলাই ৬ জন এবং ১৯ জুলাই ১২ বাংলাদেশিসহ মোট ৬২ ভুক্তভোগী ক্যাম্পে থেকে পালিয়ে দূতাবাসে আশ্রয় জন্য আসেন। এ সকল ভুক্তভোগীরা ভিয়েতনাম সরকারের সহায়তায় দূতাবাসের পার্শ্বে একটি হোটেলে অবস্থান করেছিলেন।