ডিবিএন ডেস্কঃ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) দেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক (এলপি) গ্যাসের দাম সমন্বয় করেছে। যার ফলশ্রুতিতে বেসরকারি খাতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ সর্বোচ্চ খুচরামূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৯০৬ টাকা। যা আগে ছিল ৯৭৫ টাকা। আগামী ১ মে থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) অনলাইন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন দাম ঘোষণা করে জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসি।
এদিকে, এলপিজি দাম সমন্বয় করা হলেও উৎপাদন পর্যায়ে ব্যয় পরিবর্তন না হওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির এলপিজির দাম পরিবর্তন করা হয়নি। সরকারি সাড়ে ১২ কেজি এলপিজির দাম আগের ৫৯১ টাকাই থাকছে। গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির নতুন দাম প্রতি লিটার ৪৪ টাকা ৭০ পয়সা। এর আগে এটি ছিল ৪৭ টাকা ৯২ পয়সা।
আজকের সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল বলেন, সৌদি সিপির ভিত্তিতেই দাম সমন্বয় করা হয়েছে। তাই এর বাইরে অন্য কিছু বিবেচনা করা হয়নি। প্রপেন ও বিউটেনের প্রতি টন সৌদি সিপি গড়ে ৫৪০ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার ধরে হিসাব করা হয়েছে। এর সঙ্গে সম্পর্কিত মূসক ও ডলারের বিপরীতে টাকার মান ধরে আনুপাতিক হারে পরিবর্তন হয়েছে। এলপিজি অপরেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (লোয়াব) ধারণা ঠিক নয় জানিয়ে বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, তাদের প্রত্যাশিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয়েছে। এটি ইতোমধ্যেই তাদের বলা হয়েছে। আগামী ৬ মে তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে।
অন্যদিকে, দাম কার্যকর করা নিয়ে বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, বাস্তবায়ন হয়নি এটা যেমন বলা যাবে না, ঠিক তেমনি শতভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে, তা–ও বলা যাবে না। আদেশ বাস্তবায়নে কমিশন অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করেছিল সংস্থাটি। তখন বলা হয়েছিল, বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে প্রতি মাসে দাম পুনর্নির্ধারণ করা হবে।