মোঃ খোরশেদ আলম,কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এ বছরের মার্চ থেকে শুরু হতে পারে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এদিকে সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী দৌড় ঝাপ শুরু করেছেন। চায়ের দোকান, পাড়া মহল্লা, মাঠঘাট, হাটবাজার সর্বত্র সাধারণ মানুষের মাঝে চলছে সরগরম আলোচনা।
কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার আসন্ন ১১নং রামচন্দ্রপুর (দক্ষিণ) ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মু. গোলাম কিবরিয়া খোকন এবং তিনি চেয়ারম্যান পদে সকলের দোয়া ও সহযোগীতা চেয়েছেন মুরাদনগর উপজেলার ১১নং রামচন্দ্রপুর (দক্ষিণ) ইউনিয়নের হেভিওয়েট ও জনপ্রিয় সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মু. গোলাম কিবরিয়া খোকন। আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ,কৃষকলীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগ এবং তৃণমূল নেতৃবৃন্দ সহ সর্বস্তরের জনগণের একটাই প্রাণের দাবি মু. গোলাম কিবরিয়া খোকন কে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়।
১১নং রামচন্দ্রপুর (দক্ষিণ) ইউনিয়ন পরিষদে এমন একজন জনবান্ধব নেতাকেই চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়।১১নং রামচন্দ্রপুর (দক্ষিণ) ইউনিয়ন কে ঢেলে সাজাতে এই এলাকার দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ মু. গোলাম কিবরিয়া খোকনের মতো একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি কে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়।স্থানীয়রা বলছেন, মু. গোলাম কিবরিয়া খোকন কে নৌকার মনোনয়ন দিলে আমরা ১১নং রামচন্দ্রপুর (দক্ষিণ) ইউনিয়ন বাসী সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমে নৌকার পক্ষে কাজ করব ইনশাআল্লাহ।
মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে মনোনয়ন প্রত্যাশী মু. গোলাম কিবরিয়া খোকন বলেন,আমি এবং আমার পুরো পরিবার আওয়ামী লীগ করি। আমার নেতা আলহাজ্ব ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এমপি মহোদয়,কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিন এবং মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক দিবে আমি আশাবাদী। আমি এই নির্বাচনী এলাকায় মানুষের সুখে-দুঃখে আছি। তিনি বলেন, এই ইউনিয়নে যতজন প্রার্থী হবেন তাদের মধ্য থেকে আমি সর্বজন গ্রহণযোগ্য। মু. গোলাম কিবরিয়া খোকন বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আর্দশে আদর্শিত হয়ে আওয়ামীলীগ করি। আর আওয়ামীলীগ হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত আাস্তাভাজন মানবতার ফেরিওয়ালা মুরাদনগরের মাটি ও মানুষের নেতা মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এফসিএ এর উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি।
মু. গোলাম কিবরিয়া খোকন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এফসিএ এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিন এর একান্ত অনুসারী ও আস্তা ভাজন হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলার লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নপূরণে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন লাভে সক্ষম হলে ১১নং রামচন্দ্রপুর (দক্ষিণ) ইউনিয়নকে শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে অনন্য স্থানে নিয়ে যাবেন। মাদক, দূর্ণীতি, জুয়া, দারিদ্র্য মুক্ত ইউনিয়ন উপহার দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
১১নং রামচন্দ্রপুর (দক্ষিণ) ইউনিয়ন বাসী জানান,মু. গোলাম কিবরিয়া খোকন একজন জনবান্ধব নেতা। করোনার কারণে আমরা অনেক পরিবার কর্মহীন হয়ে পরি। মু. গোলাম কিবরিয়া খোকন আমাদের পাশে থেকে আমাদের কে সব সময় সাহায্য সহযোগিতা করেছেন এবং কর্মহীন অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে অনেক খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন এবং সব সময় আমাদের খোঁজ খবর নিতেন।যে কোন সমস্যা নিয়ে আমরা মু. গোলাম কিবরিয়া খোকনের নিকটে গিয়েছি তিনি আমাদের কে সাহায্য করেছেন।তারা আরও জানান গরিব মানুষের মেয়ের বিবাহের মধ্যে টাকা পয়সা দিয়েও সাহায্য করেন তিনি এবং অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসার জন্য ও সাহায্য করে থাকেন। তারা বলেন দিনে রাতে, যে কোন বিপদে আপদে ডাকলে মু. গোলাম কিবরিয়া খোকন ও তার পরিবারের সদস্যরা আমাদের পাশে এসে হাজির হন।তাই আমরা ১১নং রামচন্দ্রপুর (দক্ষিণ) ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ মু. গোলাম কিবরিয়া খোকন কে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই।
মু. গোলাম কিবরিয়া খোকনের সাথে সাম্প্রতিক এক স্বাক্ষাৎকারে এসব কথা জানান,তিনি দীর্ঘদিন থেকে অত্র এলাকায় বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের সাথে, সাধারন মানুষের স্বার্থে উন্নয়ন মূলক কাজের সাথে জড়িত রয়েছেন। অনেক সময় নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী গরিব দুঃখী মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। তিনি মনে করেন, রাজনীতিতে ভিন্ন মতাদর্শ থাকতে পারে কিন্তুু উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমার মূল উদ্দেশ্য জনগনের সেবা করা। এমন লক্ষকে সামনে রেখেই নির্বাচনীয় প্রচারনা চালাচ্ছে এই চেয়ারম্যান প্রার্থী মু. গোলাম কিবরিয়া খোকন।তিনি আরো জানান, চেয়ারম্যান হলে ইউনিয়নের রাস্তা ঘাট উন্নয়ন, মাদক মুক্ত, সামাজিক উন্নয়ন সহ অবহেলিত মানুষের পাশে সব সময় থাকব। স্থানীয় এলাকাবাসীর অনেকেই বলেন, অত্যন্ত আস্থাভাজন ও তাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হিসেবে মু. গোলাম কিবরিয়া খোকন কে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসাব দেখতে চায়।সাধারণ মানুষের মধ্যে তার যে জনপ্রিয়তা রয়েছে তাতে তাকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিলে তার বিজয়ী হওয়া প্রায় সুনিশ্চিত।
নির্বাচনীয় প্রতিচ্ছুতি মাদকমুক্ত একটি আধুনিক পরিকল্পিত শিক্ষাবান্ধব উন্নয়ন জনগণকে উপহার দেবেন, একটি মডেল ইউনিয়ন গড়ে তুলতে অঙ্গীকার বদ্ধ। অসহায় মানুষের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে তাদের কষ্ট এবং বিভিন্ন সামাজিক প্রতিবন্ধকতা গরীব- ধনীর তারতম্য খুব কাছ থেকে উপলব্ধি করবেন। যদি তিনি সুযোগ পান বিশেষ করে সমাজের অসচ্ছল অসহায় গরিব, বিধবা, বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য কাজ করবেন। গরীব-ধনির ভেদাভেদ কে সমাজ থেকে বিলুপ্ত করার লক্ষ্যে কাজ করবেন।