বাংলাদেশ রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাবে বৈদেশিক বাণিজ্যে বড় ঘাটতির মুখে পড়েছে। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) দেশের পণ্য বাণিজ্যে ঘাটতি দাড়িয়েছে ১ হাজার কোটি ৪২২ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। বহির্বিশ্বের সঙ্গে লেনদেনে বাংলাদেশের অবস্থাও ঋণাত্মক রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের করা হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে ইপিজেডসহ রফতানি খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে ২ হাজার ৮৭৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আমদানি বাবদ ব্যয় করেছে ৪ হাজার ২৯৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার। সেই হিসেবে এপ্রিল শেষে দেশে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪২২ কোটি ১০ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (বিনিময় হার ৮৫ টাকা ধরে) দাঁড়ায় ১ লাখ ২০ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা।
ঘাটতির এ অঙ্ক ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সময় ছিল ১ হাজার ৩৯৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার। আলোচিত সময়ে আমদানি কমেছে ৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ। রফতানি কমেছে ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ। তবে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১১ দশমিক ৭১ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকলেও সেপ্টেম্বর থেকে তা ঋণাত্মক হয়েছে। এপ্রিল শেষে লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি ৪.১৩ বিলিয়ন ডলার দাঁড়িয়েছে।
চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের এপ্রিল শেষে চলতি হিসাবে ৪১২ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণাত্মক হয়েছে, যা আগের অর্থবছরে একই সময়ে ঋণাত্মক ছিল ৫৩২ কোটি ২০ লাখ ডলার। তবে চলতি অর্থবছরে সার্বিক রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার কারণে প্রথম ১০ মাসে সামগ্রিক লেনদেনে বাংলাদেশের উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ৬২ কোটি ৩০ লাখ ডলারে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে সামগ্রিক লেনদেনে ৫৯ কোটি ডলার ঘাটতি ছিল।
আলোচিত সময়ে সেবা খাতে বিদেশিদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে ৮৫৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার। আর বাংলাদেশ এ খাতে আয় করেছে মাত্র ৫৪২ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
এ হিসেবে ১০ মাসে সেবায় ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩১১ কোটি ১০ লাখ ডলারে, যা গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সমেয় ঘাটতি ছিল ২৬৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার।