মো.নাছির উদ্দিন-হোমনা-কুমিল্লা-(প্রতিনিধি)
কুমিল্লার হোমনা উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদ টি একটি গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ। এ মসজিদে প্রতিদিন শতশত মুসল্লি পাঞ্জেগানা নামাজ আদায় করে থাকেন। এ গুরুত্বপূর্ণ মসজিদের অজু খানা সংস্কারের অভাবে অনেক কষ্টকরে লাইনে দাড়িয়ে থেকে অজু করতে হয়। এতে অনেক মুসল্লিগগন সময় মত জামাতে নামাজ আদায় করতে অসুবিধা হয়। জানাগেছে, মূলত মসজিদটি ১৯৮২ সালে নির্মান কাজ শুরু হয়ে বর্তমানে একটি অত্যাধুনিক মসজিদে পরিনত হয়েছে। এ মসজিদের উন্নয়নে বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগন বিভিন্ন স্মৃতি রেখে গেছেন। বর্তমান মসজিদের অবকাঠামো উন্নয়ন শুরু হয়েছিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) হেলাল হোসেন সাহেবের সময়ে বর্তমানে তিনি খুলনা জেলার ডিসি।
এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) জনাব আতাউল হক সাহেবের এর আমলে বর্তমান অজু খানাটি নির্মিত হয়। তখন মসজিদের তুলনায় অজুখানাটি বেশ বড় মনে হলে ও বর্তমানে মসজিদ বড় হয়েছে ও অত্যাধুনিক হয়েছে সেই তুলনায় অজুখানাটি ও সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে । এ বিষয়টি প্রশাসনের চোখের সামনে হলেও এর সংস্কারের জন্য প্রশাসন কোন উদ্যোগ গ্রহন না করায় মুসল্লিদের মাঝে বিরাজ করছে চরম হতাশা।
সরেজমিনে গিয়ে মুসল্লিদের সাথে আলোচনা করে জানাযায় উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদটি অত্যাধুনিক ডিজাইনে নির্মিত হলেও অজুখানা ও টয়লেট তেমন উন্নত নয়। টয়লেটের দরজার ভাঙ্গা,পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কারনে মুসল্লিদের অসুবিধা হয়।
মুসল্লিদের সুবিধার জন্য মসজিদে ইয়ারকুলার স্থাপন করা হয়েছে। এর পাশা পাশি অত্যাধুনিক একটি অজুখানা ও টয়লেটের সংস্কারের দাবী মুসল্লিদের। মুসল্লিরা মনে করেন মাননীয় সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরী মহোদয় নিজস্ব তহবিল থেকে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মুক্তহস্তে অনেক অনুদান প্রদান করেছেন,এখনও করে যাচ্ছেন। অসহায় দুঃস্থ মানুষের সাহায্যে তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, অনেক গৃহহীনকে গৃহদান করেছেন, হোমনা হাসপাতালে রোগীদের যাতায়তের জন্য এম্বোলেন্স দান করেছেন। তিনি বর্তমানে এ উপজেলার অভিভাবক এবং উন্নয়নের আধুনিক রুপকার। মাননীয় এমপি মহোদয়ের আন্তরিকতায় স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক সহযোগীতায় তাতুয়াকান্দিতে বে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,দড়িচর উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন একটি যুগান্তকারী উদাহরণ। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিষদের বাউন্ডারী ওয়াল ও গেইট নির্মাণ পরিষদের সৌন্দর্যকে শতগুন বৃদ্ধি করেছে। মুসল্লিদের বিশ্বাস বিষয়টি মাননীয় এমপি মহোদয়ের নজরে আসলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজগর আলী মহোদয়ের প্রচেষ্ঠায় অজুখানার সংস্কার সময়ের ব্যাপার মাত্র।