মো.নাছির উদ্দিন-
-হোমনা(কুমিল্লা) প্রতিনিধি।
কুমিল্লার হোমনায় বিয়ের পরে ও শিক্ষকের লালসারত শিকার সাবেক স্কুল ছাত্রী । বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট )রাতে সাবেক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সোহেল (২৯) নামের এক স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে হোমনা থানা পুলিশ । মো. সোহেল দৌলতপুর গ্রামের কালাত মিয়ার ছেলে এবং দুলালপুর চন্দ্রমনি উচ্চ বিদ্যালয়ে খন্ডকালীন শিক্ষক ।
হোমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অহেদ মুরাদ জানান, দৌলতপুর গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে সোহেল(২৯) দুলালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক থাকাকালীন সময় দুলালপুর চন্দ্রমনি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে তাকে ধর্ষণ করে । পরে নীজে বিয়ে না করে ভয়ভীতি দেখিয়ে একই গ্রামের আলম নামের তার এক বন্ধুর নিকট তাকে (ভিকটিম) বিবাহ দেয় । কিন্তু সোহেল পূর্বের সম্পর্কের জের ধরে পূর্বের ঘটনা প্রকাশ করে দেবান ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করতে চায়। ভিকটিম এতে রাজী হয় নাই। সর্বশেষ গত ২০/০৭/১৯ইং তারিখ সকালে ভিকটিম কে দুলালপুর বাজারস্থ তাহার ভাড়াটিয়া রুমে ( কোচিং সেন্টার) শেষ বারের মত দেখা করতে বলে সোহেল । ভিকটিম তার দাম্পত্য জীবনের সুখের কথা চিন্তা করে তার কথামতো উক্ত রুমে যায়। পরে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ানো শেষে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে সোহেল ভিকটিমের ব্যবহৃত ইমু নাম্বার ০১৩০৫৯৩১৩৭৭ তে ম্যাসেজ পাঠিয়ে তার সাথে শারীরিক সর্ম্পকের বিস্তারিত লিখে পাঠিযে আবার প্রস্তাব দেয়। উক্ত ইমু নাম্বারের ম্যাসেজ গুলো ভিকটিমের স্বামীর চোখে পড়িলে তাহাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়। এই বিষয়কে ইস্যু করে ভিকটিমকে তার স্বামী ডিভোর্স দেয়। এ বিষয় উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার (২২/৮/১৯) ভিকটিম বাদী হয়ে হোমনা থানায় মামলা করে । মামলা নং ৪, তাং-২২/৮/১৯ ইং ,ধারা-৯(১) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩।
হোমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ মো.ফজলে রাব্বী জানান, দুলালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের খন্ডকালনি এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভিকটিম বাদী হয়ে মামলা করেছে । রাতে হোমনা থানার এস আই অহেদ মুরাদের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে বাড়িথেকে গ্রেফতার করে । আজ শুক্রবার (২৩ আগস্ট) আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে ।