হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিসহ কোনো আরোহী আর বেঁচে নেই। হেলিকপ্টারটিতে প্রেসিডেন্ট ছাড়াও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান এবং তাবরিজের জুমার নামাজের নেতা আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আল-ই-হাশেমও ছিলেন। তবে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি ধ্বংস হওয়ার রহস্য নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হয়েছে। বিধ্বস্ত হওয়া ওই হেলিকপ্টারটি যুক্তরাষ্ট্রের বানানো বলে জানা গেছে।
আজ সোমবার (২০ মে) ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে এমন তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
আনাদোলু জানিয়েছে, রাইসিকে নিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত হেলিকপ্টারটির খোঁজ পাওয়া গেছে। তুরস্কের আকিনসি ড্রোন (ইউএভি) দুর্ঘটনা কবলিত হেলিকপ্টারটির অবস্থান শনাক্ত করেছে। উদ্ধারকারী দল সেখানে পৌঁছাবেন।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাইসি ও আব্দুল্লাহিয়ান বেল-২১২ মডেলের একটি হেলিকপ্টারে ছিলেন। এটি যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি করা একটি হেলিকপ্টার। হেলিকপ্টারটি ছিল মাঝারি আকারের। এতে পাইলটসহ ১৫ জন বসতে পারেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা-এর বরাতে এ খবর দিয়েছে রয়টার্স।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইরানে বিধ্বস্ত হওয়া হেলিকপ্টারটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি করা বেল-২১২ মডেলের। তবে ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর ইরানের কাছে এমন কোনো হেলিকপ্টার বিক্রি করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
এ পরিস্থিতিতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, যাই ঘটে থাকুক না কেন, রাষ্ট্র পরিচালনার কাজে কোনো ধরনের ব্যাঘাত ঘটবে না। ইরানের পারমাণবিক প্রকল্প ও পররাষ্ট্রনীতির বিষয়ে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত খামেনির কাছ থেকেই আসে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে আরো বলা হয়েছে, মূলত বৈরী আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এখনো আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় তল্লাশি অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। রাইসি ও আব্দোল্লাহিয়ান যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত বেল-২১২ মডেলের একটি হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করছিলেন।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | ভোর ৫:১৫ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি