কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও কমেনি শীতের তীব্রতা। গুড়িগুড়ি বৃষ্টি ও হিমেল বাতাসে কনকনে ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে জেলার জনজীবন। শীতকষ্টে পড়েছে অতিদরিদ্র ছিন্নমূল, শ্রমজীবী এবং নদ- নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষেরা। প্রচন্ড ঠান্ডায় লোকজন জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে যাচ্ছেন না।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস পরিমাপ করেছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। যা গত কালের তুলনায় ২ ডিগ্রি বেশি। মধ্যরাত থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বেশী অনুভুত হচ্ছে। কনকনে ঠান্ডায় গ্রামাঞ্চলের মানুষেরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে।
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি।
কুড়িগ্রাম পৌর শহরের আলম মিয়া বলেন, গতকাল রাত থেকে অনেক ঠান্ডা। আবার সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। যার কারণে খুব ঠান্ডা। হাত পা বরফ হয়ে যাচ্ছে। শহরে মানুষজনও কম।
শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে শীতবস্ত্র কেনার জন্য ৪৯ লাখ টাকা ও ১২ হাজার পিস কম্বল উপজেলা সমূহে বিতরন করা হয়েছে। আরও ৫ হাজার কম্বল মজুদ রয়েছে তা বিতরণ করা হবে।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আকাশে মেঘ থাকার কারণে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন এলাকায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
আজ ২৬শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শীতকাল | ১০ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১২:৫২ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি