মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীদের খাবারের জন্য বরাদ্দকৃত চাল, ডাল, তেল পিঁয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী চুরি করে অন্যত্র পাচারের সময় একজনকে আটক করেছে স্থানীয়রা। শনিবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যা সাতটায় বড়লেখা পৌরশহর থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত ওই ব্যক্তির নাম সুশান্ত। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাবুর্চি পরিমল মালাকারের বোন জামাই বলে জানা গেছে।
শনিবার রাতে ঘটনাটি ফেসবুক লাইভে এসে জানিয়েছেন উপজেলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুনেদ আহমদ। এসময় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাকের আহমদসহ আরও কয়েকজন সরেজমিনে উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায়ই সংশ্লিষ্টদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাবুর্চি পরিমল মালাকার হাসপাতালে রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্য সামগ্রী চুরি করেন।
এদিকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত বাবুর্চি পরিমল মালাকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাকের আহমদ মুঠোফোনে বলেন, শনিবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যা সাতটায় বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাবুর্চি পরিমল মালাকারের বোন জামাই সুশান্ত হাসপাতালের রোগীদের খাবারের জন্য বরাদ্দকৃত চাল, ডাল, তেল পিঁয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বস্তায় ভরে বড়লেখা পৌরশহরে নিয়ে আসেন। এসময় তিনি বস্তাগুলো গাড়িতে তুলছিলেন। খবর পেয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুনেদ আহমদসহ আমরা কয়েকজন সেখানে গিয়ে সুশান্তকে আটক করি।
পরে তার কাছ থেকে কয়েকটি বস্তা জব্দ করা হয়। বস্তাগুলোতে হাসপাতালের রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী ছিল। পরে সুশান্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, খাদ্যসামগ্রীগুলো তিনি তার বাড়িতে পাঠানোর জন্য হাসপাতাল থেকে এনেছেন। পরে জব্দকৃত খাদ্য সামগ্রীসহ তাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে নিয়ে যাই। হাসপাতালে নেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট সবার সামনে বাবুর্চি পরিমল খাদ্যসামগ্রীগুলো চুরি করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। এ বিষয় নিয়ে সচেতন মহলের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রত্নদীপ বিশ্বাস শনিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। এই ঘটনায় অভিযুক্ত বাবুর্চির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি