হারিয়ে গিয়েছিল মোবাইল ফোন। ফেরতও পাওয়া গিয়েছে আবার। তবে ফোনের সঙ্গে একরাশ চমক ফেরত পেয়েছেন মালয়েশিয়ার ছাত্র। ওই ছাত্র জানিয়েছেন, তাঁর ফোন গ্যালারি ভরে গিয়েছে বাঁদরের ছবিতে। তাও আবার সেলফি!
মালয়েশিয়ার ছাত্র জ্যাকরিদজ রডজি। ২০ বছর বয়সী এই তরুণ রাতে ঘুমানোর আগে মাথার পাশে ফোন রেখেছিলেন। সকালে আর হদিশ পাননি মোবাইলের। রডজির কথায়, “চুরি-ডাকাতির কোনও লক্ষণই ছিল না। ঘরে সব রয়েছে শুধু ফোনটা নেই। মনে হচ্ছে যেন কোনও জাদুবলে গায়েব হয়ে গিয়েছে আমার মোবাইল।” তবে যাই হোক কোনওভাবে নিজের ফোন ট্র্যাক করতে পেরেছিলেন ওই ছাত্র। দেখা গিয়েছিল রডজির বাড়ির পিছনের জঙ্গলে ফোনের লোকেশন রয়েছে। সেই মতো সঠিন জায়গায় গিয়ে ফোন খুঁজেও পায় ওই পড়ুয়া। কিন্তু কীভাবে ফোনটা জঙ্গলে পৌঁছল কিছুতেই সেটা বুঝতে পারছিলেন না রডজি।
সেই সময় মজা করে রডজির এক কাকা বলেন, “ফোন খুঁজে দ্যাখো, হয়তো চোরের ছবি পেয়ে যাবি।” কাকার কথায় হেসে ফেললেও একবার ফোনে গ্যালারি চেক করতে যায় ওই ছাত্র। তাতেই চক্ষু ছানাবড়া হয় তাঁর। হাসবেন না কাঁদবেন বুঝে পান না রডজি। পড়ুয়া দেখেন, তাঁর গোটা ফোন গ্যালারি জুড়ে রয়েছে একদল বাঁদরের নানা অঙ্গভঙ্গির ছবি। রয়েছে বাঁদরদের বিভিন্ন পোজের সেলফই এবং ভিডিও। তাজ্জব হয়ে যান রডজি এবং তাঁর কাকা। অনুমান জঙ্গলের মধ্যে যে গাছের তলায় এই মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে সেখানকারই বাসিন্দা এই বাঁদরের দল।
রডজির কথায়,” আমার ধারনা, রাতে জানলা খোলা পেয়ে কোনও বাঁদর আমার ঘরে ঢুকে এসেছিল। তারপর তুলে নিয়ে গেছে মোবাইল। শখ মিটিয়ে ছবি তুলেছে। ভিডিওতে দেখলাম একজন আমার ফোনটা খেয়েও নিতে চেয়েছে খাবার দারুণ জিনিস ভেবে। হয়ত ফটো সেশনের সময় ওদের হাত থেকেই মোবাইলটা পড়ে গিয়ে। সেটাই আমি কুড়িয়ে পেয়েছি।”
টুইটারে বাঁদরের দলের এইসব কীর্তিকলাপ শেয়ার করেছেন মালয়েশিয়ার ওই ছাত্র। জানিয়েছেন, এমন জিনিস শতকে এক-আধবার দেখা যায়। চোখে না দেখে কেবল শুনলে মনে হবে আজগুবি গল্প। যেমনটা প্রথমে রডজির পরিবারের সঙ্গে হয়েছিল। কেউ নিজের চোখে না দেখলে এমনটা যে হয় বিশ্বাসই করতে পারবেন না। দ্য ওয়াল।