আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে খেলা হবে। রাজপথ, জনপদ, শহর, গ্রাম, পাড়ামহল্লা সবখানেই সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুত থাকতে হবে। হামলা হলে পাল্টা হামলা হবে কি না তা সময়ই বলে দেবে।
আজ শনিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তারেক রহমান গতকালও ঢাকার এক ক্যাডারের সঙ্গে কনভারসেশন করেছেন। লন্ডন থেকে বলেছেন, তোমরা রাস্তা ছাড়বো না, শেখ হাসিনা পালানোর পথ খুঁজছে। তার এমপি-মন্ত্রীরাও পালানোর পথ খুঁজছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকার সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোহিত উর রহমান শান্তর সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক ধর্মপ্রতিমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বাবু অসিম কুমার উকিল, সদস্য মারুফা আক্তার পপি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী মো. শরীফ আহমেদ, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বাবু, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরুসহ প্রমুখ।
✪ আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের মাদ্রাসায় বোমা হামলায় শিশুসহ নিহত ২৩, আহত ৩০
এদিকে, সম্মেলনকে ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সাড়ে ৫০০ পুলিশ সদস্য থাকবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা। তিনি বলেন, পুলিশের পাশাপাশি এপিবিএন সদস্যরাও থাকবে। ইতোমধ্যে পুলিশ হেডকোয়াটার্স থেকে এপিবিএন সদস্যদের নিয়ে আসা হয়েছে। গোটা সম্মেলনস্থলকে সিসি ক্যামেরার আওয়তায় আনা হয়েছে। থাকবে ওয়াচ টাওয়ার।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল সর্বশেষ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। পরে একই বছরের ১০ অক্টোবর অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকাকে সভাপতি এবং অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয়। অপর দিকে মহানগর কমিটিতে এহতেশামুল আলম সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মোহিত উর রহমান শান্তের নাম ঘোষণা করা হয়।