কখনও মাছ, কখনও ধান আবার কখনও শস্য ক্ষেতের উর্বর মাধ্যম হাকালুকি হাওর। বর্ষা মৌসুমে হাকালুকি ভরপুর থাকে মাছের অভয়ারণ্যে। গ্রীষ্মকাল ও শীতকালে সবজি চাষ আর বোরোর মৌসুমে বোরো চাষের জন্য হাকালুকির বুকে রয়েছে সাধারন মানুষের আহার। এই হাকালুকির মাঠ কৃষক, শ্রমিক, জেলে অনেকের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র মাধ্যম। এ বছর বোরো ধানের পাশাপাশি একটি অংশে বাদাম, ভূট্রা ও মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে বাম্পার। মিষ্টি কুমড়া (লাউ) চাষ করে লাভবান হয়েছেন অনেক কৃষক।
জুড়ী উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় ৯৪ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। এর প্রায় সবটুকুই হাকালুকি হাওর ঘিরে। চাষিরা বলছেন, কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় তারা মিষ্টি কুমড়া চাষে ঝুঁকছেন। মিষ্টি কুমড়া মাটিতে হয় আবার মাচাঁ পদ্ধতিতে ও হয়। নির্দিষ্ট সময়ে বাজারজাত করে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় চাষিদের কষ্ট সফল হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাজারে মিষ্টি কুমড়ার বিক্রি প্রায় শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন চাষিরা।
উপজেলার বেলাগাও গ্রামের চাষি আতিকুর রহমান, আলমগীর হোসেন জানান, প্রায় ২ বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষে সব মিলে খরচ হয় ৭-৮ হাজার টাকা। মিষ্টি কুমড়া চাষে কষ্ট কম হয়। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ভালো ফলন হয়েছে। প্রতিদিন পাইকারি দামে এখান থেকে এসে ব্যবসায়ীরা মিষ্টি কুমড়া ক্রয় করে। প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকার মত বিক্রি করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশী জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছেন বেলাগাও গ্রামের কামাল মিয়া ও মালু মিয়া। তারা প্রায় ২ লক্ষ ৮০ হাজার থেকে তিন লক্ষ টাকার মত মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করেছেন।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
জুড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ‘উপজেলায় এবার ৯৪ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে। মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলনে চাষীরা অনেক খুশী। চাষিদের মাঝে কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে চাষিদের প্রযুক্তিগত পরামর্শ সহায়তা দেওয়া হয়।
কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, মিষ্টি কুমড়ার পাশাপাশি কৃষকরা হাকালুকিতে প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে বাদাম, ২০ হেক্টর জমিতে ভূট্রা চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সব ধরনের ফসল ভালো হয়েছে।
ডিবিএন/এসডিআর/মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান