বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী নির্বাচন করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আজ সোমবার (২৩ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট চত্বরের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
তবে শুধু বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াই নয়, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজি মো. সেলিমসহ সাজাপ্রাপ্ত কেউই নির্বাচন করতে পারবেন না বলেও জানান দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এর আগে, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানসহ দলটির পাঁচ নেতার দুর্নীতির পৃথক মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া দণ্ড ও সাজা স্থগিতের আবেদন খারিজ করে ২০১৮ সালে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই রায়ের অনুলিপি রোববার (২২ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, জামিন বা সাজা স্থগিত থাকলেও তিনি (সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি) নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যদি না তার সাজা উপযুক্ত আদালত কর্তৃক বাতিল না হয়। আপিল বিচারাধীন থাকা মানে দণ্ডিত ব্যক্তি নির্দোষ নয়। একমাত্র উপযুক্ত আদালত কর্তৃক সাজা বাতিল হলে দণ্ডিত ব্যক্তি নির্দোষ হবেন। দণ্ড বাতিল না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া সাজা খাটার পর পাঁচ বছর অতিক্রম হওয়ার আগে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা যাবে না।
এছাড়া, দুদকের দায়ের করা মামলায় দুই বছরের ওপর সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাংবিধানিকভাবেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য বিবেচিত হবেন বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৯:৫৪ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি