রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণে বাংলাদেশকে ৭৬ হাজার ৬৩৫ মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েন (আনুমানিক ৫১৭.২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দিচ্ছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।
আজ রোববার (২৪ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অফিসে বাংলাদেশ সরকার এবং জাপান সরকারের মধ্যে এ লক্ষ্যে বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি সই করেন। জাপান সরকারের পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বিনিময় নোট এবং বাংলাদেশে অবস্থিত জাইকা অফিসের সিনিয়র রিপ্রেজেন্টেটিভ হিরোশি ইয়োশিদা চুক্তিতে সই করেন।
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, জাপান সরকারের ৪৪তম ওডিএ লোন প্যাকেজের তৃতীয় ব্যাচের আওতাধীন ‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের ঋণের জন্য বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি সই হয়েছে। ঋণ চুক্তিটির আওতায় জাপান সরকার বাংলাদেশকে ৭৬ হাজার ৬৩৫ মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েন (আনুমানিক ৫১৭.২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ঋণ সহায়তা দেবে। স্বাক্ষরিত ঋণের বাৎসরিক সুদের হার নির্মাণকাজের জন্য ১ দশমিক ৩০ শতাংশ, পরামর্শক সেবার জন্য শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ, এককালীন শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ। এ ঋণ ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি নতুন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণসহ বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ ও অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বিমান পরিবহনের চাহিদা পূরণ এবং আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ২১ হাজার ৩৯৯.০৬৩৩ কোটি টাকা (জিওবি ৫২৫৮.০৩৮৮ কোটি, জাইকা ১৬১৪১.০২৪৫ কোটি)। প্রকল্পের মেয়াদকাল জুলাই ২০১৬ হতে জুন ২০২৫। নভেম্বর ২০২৩ সময় পর্যন্ত প্রকল্পের বাস্তব ভৌত অগ্রগতি ৯০ শতাংশ। এ প্রকল্পে জাইকা কর্তৃক পর্যায়ক্রমে ঋণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এর আগে দু’টি পর্যায়ে মোট ১৫৬.৮২৫ মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েনের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৫:৫৬ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/এমআরবি