মো আমিন আহমেদ, ক্রাইম রিপোর্টারঃ হবিগঞ্জ শহরের আবাসিক হোটেল গুলোতে মাদক ও জুয়াসহ চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, অসাধু পুলিশ সদস্যদের বারবার বলার পরও এসব বিষয় আমলে নেয়নি। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শহরের জজ কোর্ট ও পুরাতন ফৌজদারী কোর্টের পুরাতন পৌরসভা এলাকার আম্বর আলী, শাহজালাল ও গরীবে নেওয়াজসহ বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে হোটেলের ম্যানেজার ও কলগার্লসহ ৭ জনকে আটক করে।
উক্ত অভিযানে নেতৃত্ব দেন ডিবির ওসি আল আমিন ও এসআই মোজাম্মেল হক।
আটকরা হল, শহরের রাজনগর এলাকার মৃত মশ্বব আলীর পুত্র সিদ্দিকুর রহমান দুলাল (৪৫), রিচি অগ্নিকোনার আব্দুল কাদিরের পুত্র ফরিদ মিয়া (২৫) ও জয়নগর এলাকার মৃত বিলাত আলীর পুত্র দিলু মিয়া (৪০)। এ ছাড়া কলগার্লদের মধ্যে রয়েছে বাহুবল উপজেলার মানিকাআব্দা গ্রামের আব্দাল মিয়ার স্ত্রী তানিয়া আক্তার (৩০), পাইকপাড়া গ্রামের দুলাল মিয়ার স্ত্রী পারুল আক্তার (২৮), নবীগঞ্জ উপজেলার দিনারপুর গ্রামের মৃত ইজ্জত আলীর কন্যা মিলি (২০) ও সদর উপজেলার শরিফাবাদ গ্রামের আজব আলী সুমনের স্ত্রী রুনু আক্তার (৩৫)।
অভিযানকালে তাদের হেফাজত থেকে বেশকিছু কনডম ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকায় বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে পাশাপাশি আইনজীবিদের চেম্বারও আছে। কিন্তু এসব থাকার পরও উল্লেখিতরা বীরদর্পে এসব অসামাজিক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করেনি। আর প্রতিবাদ করেই কি হবে? কতিপয় অসাধু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যকে মাসোহারা দিয়ে এসব করে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসি।
তবে ডিবির ওসি জানান, শহরের বিভিন্ন বিলাস বহুল আবাসিক হোটেলগুলোতে দেহ ব্যবসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। পুলিশ সুপারের নির্দেশে সন্দেহমূলক প্রতিটি হোটেলেই অভিযান চলবে। এ ঘটনায় এসআই মোজাম্মেল বাদি হয়ে মামলা করেছেন এবং এ ঘটনায় আর কে কে জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও অভিযান চলছে। আজ বুধবার তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।