হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে চলা কুশিয়ারা নদীর ভাঙন পরিস্থিতিতে এরই মধ্যে ভিটেহারা হয়েছে প্রায় ৩০ পরিবার। বর্ষার আগেই পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টির কারণে পানি বাড়ছে নদীতে। এমন পরিস্থিতিতে ভয়াবহ ভাঙনের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। দিনের পর দিন এখন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন নদীতীরবর্তী বাসিন্দারা।
এদিকে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার আর চারটি গ্রামের হাজারো পরিবার কালনী-কুশিয়ারা নদী ভাঙনের শঙ্কায় দিনরাত পার করছে। এর মধ্যে শতাধিক পরিবার কাকাইলছেও ইউনিয়নের। কালনী কুশিয়ারা নদীর ভাঙন প্রতিদিন বাড়ছে। কাকাইলছেও ইউনিয়নের মনিপুর, সৌলরী, কালনীপাড়া গ্রামের কয়েকটি বসতঘর যে কোন সময় নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে। এ ছাড়া বদরপুরসহ আশপাশের আরও কয়েকটি গ্রামের লোকজন ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। ভাঙনের কবলে পড়ে বিপাকে পড়েছেন অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মানুষগুলো। ভাঙনকবলিত অনেকে আত্মীয়-স্বজন ও সরকারি পতিত ভূমিতে আশ্রয় নিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, গত এক মাসে বদরপুর গ্রামের সামরিক মিয়ার বাড়ির মতো নদীতে ভিটাবাড়ি হারিয়েছেন সুজিত, অবিনাশ, অধীর, অশ্বিনী, দীপঙ্কর, মনোরঞ্জন, অরিবৃন্দ, নীলকান্ত, মতিণ্ড, যামিনী, রমাকান্ত, গৌতম, সুশেন, লবু, ভূষেণের পরিবারসহ অন্তত ৩০টি পরিবার।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুয়েল ভৌমিক জানান, শিগগিরই তিনি ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত কাজ শুরু হবে।
হবিগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ জানান, ভাঙনের বিষয়ে তারা অবগত। এরই মধ্যে এ ব্যাপারে তৎপরতা শুরু হয়েছে। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, কয়েক বছর ধরে চলা নদীর ভাঙনে এরই মধ্যে বিলীন হয়েছে তাদের অনেকেরই সহায়সম্বল। বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন বহু বাসিন্দা। অল্পবিস্তর যা অবশিষ্ট আছে, তা হারানোর ভয়ে আছেন অনেকেই। তাদের অভিযোগ, ভাঙন ঠেকাতে টেকসই পদক্ষেপ না নেওয়ায় এই ভোগান্তি কমছে না। যেসব কাজ করা হয়, সেখানেও থাকে অনিয়ম; যা মানুষের দুর্ভোগ বাড়ায়। ভাঙন শুরু হলেই কিছু জিও ব্যাগ ফেলে নিজের দায়িত্ব সারেন সংশ্লিষ্টরা।
আজ ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৭:০৫ | বৃহস্পতিবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি