লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পা হারানো ট্রলি চালক জসিম উদ্দিন এর সহায়তায় এগিয়ে আসলেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সদস্য, লোহাগাড়া বিআরডিবির চেয়ারম্যান, লোহাগাড়া ডায়বেটিস হাসপাতালের পরিচালক সমাজকর্মী আরমান বাবু রুমেল।
১৭ ফেব্রুয়ারী (বৃহস্পতিবার) সকালে তিনি জসিমের গ্রামের বাড়িতে তাকে দেখতে যান এবং তার পরিবারের খোঁজ খবর নেন। এ সময় তিনি জসিম কে চলাফেরা করার জন্য একটি হুইলচেয়ার ও কম্বল বিতরণ করেন। সেই সাথে তিনি জসিম ড্রাইবারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করার সবই করে দিবেন বলে আশ্বাস দেন।
পা হারানো জসিম জানান, তিনি আগে একটি চেয়ারের অভাবে ভালো করে চলাফেরা করতে পারতো না,রুমেল ভাই চেয়ার দেওয়ায় তিনি এখন ভালোবাবে চলাফেরা করতে পারবে। তিনি সমাজের বিত্তশালীদেরকে তার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহব্বান জানান।
জসীমের স্ত্রী জানান, পা হারানোর পর থেকে তার পরিবারে দুঃখ নেমে আসে। খেয়ে না খেয়ে, মানুষের কাছে হাত পেতে দিন কাটাতে হচ্ছে, তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সাতাকানিয়-লোহাগাড়ার মাননীয় এম.পি প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দীন নদভীসহ সমাজের বিত্তবানদের তার পরিবার ও ছেলে মেয়েদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহব্বান জানান।
সমাজকর্মী আরমান বাবু রুমেল বলেন,সাংবাদিক মোঃমিনহাজ উদ্দীন এর মধ্যমে খবর পেয়ে, মাননীয় এম.পি মহোদয় এর নির্দেশে পা হারানোর জসিমকে দেখতে যাই। চলাফেরা করতে না পারায়,তাকে সাময়িক ভাবে একটি হুইলচেয়ার দেওয়া হয় এবং একটি কম্বল বিতরণ করা হয়। ইনশাআল্লাহ মাননীয় এম.পি মহোদয়ের সহায়তায় সরকারের সকল সুযোগ সুবিধার আওতায় আনা হবে জসিম এর পরিবারকে।
উল্লেখ্যঃ গত ৬ মাস আগে আমিরাবাদ পুরাতন বিওসি এলাকায় ট্রাক ও ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ট্রলি চালক জসিম ঘটনা স্থলে তার একটি পা হারান। পরবর্তীতে চিকিৎসক এর পরামর্শে তার আরো একটি পা কেটে পেলতে হয়। জসিম পদুয়া ইউনিয়নের জিন্নাত আলী পাড়ার আবুল হোসেনের পুত্র। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে। একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি জসিমের পা হারনোর কারণে তার ছেলে মেয়েদের পড়ালেখাসহ জীবনধারণ অসম্ভব হয়ে পড়েছে।