রাজধানীতে শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে শেরেবাংলা নগর থানাধীন মানিক মিয়া এভিনিউ সংসদ ভবনের ১১ নং গেটের পশ্চিম পাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগের আনন্দ মিছিল শেষে সংগঠনটির দুই গ্রুপের বাগবিতণ্ডার জেরে ছুরিকাঘাতে মেহেদি হাসান (১৭) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, মেহেদির গ্রামের বাড়ি জামালপুরের দেয়ানগঞ্জ উপজেলার পুল্লাকান্দি গ্রামে। সে মো. আবু হানিফ ও লিপি শিকদার দম্পতির সন্তান। বর্তমানে তারা ভাটারা এলাকায় বসবাস করত। মেহেদি রাজধানীর ভাটারা এলাকার একটি স্কুল থেকে সদ্য এসএসসি পাশ করে কলেজে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আনন্দ মিছিল শেষে নিজ এলাকায় পায়ে হেঁটে ফিরছিলেন মেহেদি ও তার সহকর্মীরা। রাস্তা পারাপারের সময় পিকআপ ভ্যানে থাকা অন্য একটি দলের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরে প্রতিপক্ষকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে নিলে মেহেদিসহ অন্যান্যরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের চাকুর আঘাতে আহত হয় মেহেদি। পরে তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শেরেবাংলা নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজীব দে ঘওটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি শেষে দুই পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল হয়। কী নিয়ে গণ্ডগোল, সেটি জানা সম্ভব হয়নি। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফা মারামারি হয়। তখন মেহেদি হাসানকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। কিশোর মেহেদি চলতি বছর এসএসসি পাস করেছে। সে তার পরিবারের সঙ্গে ভাটারা এলাকায় বসবাস করত।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ১১:১৫ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি