জোবায়ের আহমেদ, শেরপুর, বগুড়া: বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার বাঙালী নদীর অনেক ঘাট রয়েছে, যেখানে একটি করে ব্রিজ উপজেলা বাসীর প্রাণের দাবী। এমনই একটি ঘাট হলো উপজেলার খামারকান্দী ইউনিয়নের ঝাজর-বিলনোথার ঘাট।
এই ঘাটে বগুড়ার গুরুত্বপূর্ণ ২ টি উপজেলা শেরপুর ও ধুনটকে বিভক্ত করেছে বাঙালী নদী। প্রতিদিন এই ২ উপজেলার হাজারো মানুষের নদী পারাপারের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে খেয়া নৌকা। ব্রিজ হলে যেখানে পার হতে সময় লাগতো ১ থেকে ২ মিনিট, সেখানে কখনো কখনো ১৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় লেগে যায় নৌকায় নদী পার হতে।
আবার অনেক সময় ছোটখাটো দুর্ঘটনা যেন স্বাভাবিক ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। নৌকায় পারাপারের সময় প্রত্যক্ষদর্শী সাইফুল ইসলাম বলেন, একটু বৃষ্টি হলে নদীর উভয় পার্শ্বে উঁচু পাড়ে উঠার সময় প্রায়ই মানুষ ও যানবাহন পিছলে দুর্ঘটনার শিকার হয়।
নদীর পশ্চিম পার্শ্বে বগুড়ার বেশ কিছু স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকায় অসংখ্য শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন নদী পার হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। এসময় প্রতিনিয়ত তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। কেউ যদি এই নৌকা ব্যাতিত গন্তব্যে পৌঁছাতে চায় তাহলে তাকে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয়।
স্বাধীনতার ৫০ বছরে এপর্যন্ত বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি তাদের ব্রিজটি করে দেয়ার ব্যাপারে আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিন্তু কেউই বাস্তবায়নের কোন পদক্ষেপ নেননি।
এই বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, এই ঝাঁজর-বিলনোথার ঘাটে তাদের একটি ব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। তবে সেটা কবে নাগাদ বাস্তবায়ন হবে বা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু সেটা অজানাই রয়ে গেছে।