নির্বাচনী প্রচারনা শুরু হয়ে গেছে। এবার নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দী আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ। তফসিল ঘোষনার পর জাতীয় পার্টির নেতাদের বক্তব্য শুনে মনে হয়েছিল তারাই হবে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ। বি এন পি নেই অতএব জাতীয় পার্টিই হবে সংসদের বিরোধী দল। নেতারা ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে একক ভাবে লড়বে বলেছে। মনোনয়ন জমা দিয়েও নির্বাচনে না যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে বার বার। অবশেষ বহু দেনদরবার করে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ২৬টি আসনের নিশ্চয়তা পেয়েছে মাত্র। দলের অনেক বড় নেতার আসনও রক্ষা করতে পারেনি।
কিন্তু জি এম কাদেরের স্ত্রীর জন্য একটি আসন নিশ্চিত হয়েছে। এই ঘটনায় নেতাকর্মীরা ক্ষুদ্ধ। দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রাক্তন মন্ত্রী ফিরোজ রশিদ তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। জি এম কাদেরের নেতৃত্বের প্রতি নেতাকর্মীরা আস্থা হারিয়েছে। বি এন পি নির্বাচনে এলে জাতীয় পার্টি ২৬টি আসনও আনতে পারত মনে হয় না। বিভক্তির সঙ্কা দেখা দিয়েছে জাতীয় পার্টিতেও। যাদের আসন নিশ্চিত হয়েছে তারা নির্বাচনী পোষ্টার ছেপেছে শেখ হাসিনার ছবি দিয়ে। পোষ্টারে লিখে দিয়েছে “আওয়ামী লীগ সমর্থীত প্রার্থী”। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের সমর্থন ছাড়া জাতীয় পার্টি শুন্য। এই নেতারা বিজয়ী হয়ে সংসদে গিয়েও একই কর্ম করবে। বিরোধী দলের আসনে বসা হচ্ছেনা জাতীয় পার্টির। কারন সর্ব্বোচ্চ ১১টি আসনে জয়ী হতে পারবে দলটি। তৃনমূল বি এন পি এই সংখ্যাটি অতিক্রম করতে পারলে জাতীয় পার্টি তাদের সাথে ঐক্য করে জোট ভুক্ত বিরোধী দল হতে পারত। কিন্তু তৃনমূল বি এন পি’র পক্ষেও সম্ভাবনাটি নিতান্তই ক্ষীণ। তাহলে জাতীয় সংসদে বিরোধী দল হবে কারা?
✪ আরও পড়ুন: নির্বাচন-২৪
✪ আরও পড়ুন: নির্বাচন
✪ আরও পড়ুন: আবারও রাজনীতিতে শুন্যতা
✪ আরও পড়ুন: আবারও অবরোধ
চতুর্থ বারের মত সরকার গঠন করবে আওয়ামী লীগ তা প্রায় নিশ্চিত। বি এন পি লাগাতার আন্দোলনের হুমকি ধমকি দিলেও দলটি আসলে এখন শ্রীঘরে। জাতীয় পার্টির লম্ফঝম্ফও ছিল সারশুন্য। নির্বাচনে দুটি দলই সঠিক নেতৃত্ব দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে।এই দুই দলের ভুল নেতৃত্বের কারনে গনতন্ত্র চর্চা করার সুযোগটি হাতছাড়া হয়েছে। এখন ফলাফল নিয়ে অন্যকে দোষারূপ করে লাভ নেই। আন্দোলন সংগ্রাম করে বি এন পি কোন কিছুই অর্জন করতে পারেনি। বি এন পি নির্বাচনে এলে হয়ত ফলাফল এমনই হত কিন্তু সংসদের চিত্রটি ভিন্ন হত। শক্ত বিরোধী দল সংসদে জবাবদাহিতা নিশ্চিত করতে পারত। এখন অপ্রতিরুদ্ধ আওয়ামী লীগের মূল প্রতদ্বন্দি স্বতন্ত্র প্রার্থী। এই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবাই স্বতন্ত্র নয়। অনেকেরই রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে- এরা ডামি প্রার্থী। সংসদেও ডামী বিরোধী দল হবে সম্মিলিত স্বতন্ত্র এম পি’দের নিয়ে। জাতীয় পার্টি সেই জোটে যুক্ত হয়ে বিরোধী দলের চেয়ারে বসতে পারে যদি আর কোন ভুল না করে! তবেএই নির্বাচনকে অগনতান্ত্রিক বলার সুযোগ নেই। দুই বিরোধী দলের ভুলের কারনে আবারও দেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা গেল না। দায়টি তাদের বইতে হবেই।।
ও পড়ুন: কোন পক্ষটি সমর্থন করবে!
✪ আরও পড়ুন: বি এন পি’র রাজনীতি
✪ আরও পড়ুন: বিএনপি দলের এক দফা
✪ আরও পড়ুন:গণতন্ত্র
✪ আরও পড়ুন:বিদেশী প্রেস্ক্রিপশনে শেখ হাসিনা চলেননা
✪ আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন এক চরম দু:সময় চলছে
✪ আরও পড়ুন: যুদ্ধটি সহজ হবে না!
আজ ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৩:৪২ | বৃহস্পতিবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি