মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্রখলা চা বাগান এলাকার হাজারীবাগে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ১০ বছরের একটি শিশু ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণকারী শিশুটির ফুফা বলে জানা গেছে। এঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত মো. হানিফকে (৫৮) গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
ধর্ষিতা শিশুটি বর্তমানে মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
পুলিশ ও আত্মীয়দের বরাতে জানা গেছে, বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া (১০) বছরের মেয়েটি পাশ্ববর্তী নজরুলের বাড়িতে প্রাইভেট পড়া শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে মো. হানিফ (৫৮) তাকে লিচু ও টাকা দেয়ার লোভ দেখিয়ে কাদির মিয়ার লেবু বাগানের একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় সে মেয়েটিকে ২০ টাকাও দেয়। পরে মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে এবং পরিবারের লোকজনদের সব খুলে বলে শিশু বাচ্চাটি। ঘটনা শোনার পর পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে রাত ৯টায় দিকে কমলগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের পর আসামি হানিফকে শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশন থেকে এসআই অনিক রঞ্জন দাস রাত সাড়ে ১০ টার দিকে গ্রেপ্তার করেন।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
শিশুটির চাচার বরাত দিয়ে জানান, বর্তমানে মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে হাজারিবাগ এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী। তিনি বলেন, দোষীর দৃষ্টান্তকারী শাস্তির দাবি জানান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অনিক রঞ্জন দাস জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে আসামি মো. হানিফকে শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি হানিফ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা রেলস্টেশনে অপেক্ষমান ছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হানিফ মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে যাবার কথা স্বীকার করে বলেছে, সে মেয়েটির ফুফা হয়।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আইননুয়ায়ী দোষী ব্যক্তিকে মামলা দায়েরের মাধ্যমে আজ বৃহস্পতিবার আদালতে প্রেরণ করা হবে।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি