আগের রাতে বার্সেলোনা তাদের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে অপেক্ষায় ছিল তাদের প্রতিপক্ষের জন্য। অবশেষে জানা গেলো বার্সেলোনা তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে লিভারপুলকে পেয়েছে। অর্থাৎ বর্তমান সময়ের সেরা দুই তারকার মুখোমুখি লড়াই উপভোগ করতে পারবে ফুটবল বিশ্ব।
বুধবার রাতে ড্রাগনদের মাঠ এস্তাদিও দো ড্রাগনে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে আতিথেয়তা নিতে যায় ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল। দ্বিতীয় লেগে ৪-১ গোলে জয়ী হয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-১ গোলের এগ্রিগ্রেটে সেমিতে উত্তীর্ণ হয় অলরেডসরা।
এতে করে চেলসি ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর প্রথম ইংলিশ দল হিসেবে টানা দুই মৌসুমে সেমিতে খেলবে লিভারপুল।
নিজেদের মাঠে শুরু থেকেই আগের মৌসুমের রানার্সআপদের রক্ষণে চাপ দিতে থাকে পোর্তো। কিন্তু প্রথমার্ধে গোলমুখে ছয়টি শট নিলেও কাঙ্খিত গোলের পায়নি ড্রাগন খ্যাত পোর্তো। বরং ম্যাচের ২৬ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে পোর্তো। ডি-বক্সের ভেতর থেকে মোহাম্মদ সালাহর বাড়ানো বল শেষ মুহূর্তে পা বাড়িয়ে জালে জড়িয়ে দেন সাদিও মানে। অফসাইডের কারণে প্রথমে গোল বাতিল হলেও ভিএআরের সাহায্যে গোলের বাঁশি বাজান রেফারি।
এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় দুই দল। বিরতি থেকে ফিরে ৬৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় ক্লপের শিষ্যরা। ডান দিক থেকে ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আরনল্ডের বাড়ানো বলে এগিয়ে আসা পোর্তো গোলরক্ষক ক্যাসিয়াসকে পরাভূত করে বল জালে পাঠান মিশরীয় ফরোয়ার্ড সালাহ।
৬৮তম মিনিটে ব্রাজিলিয়ান এদের মিলিতাওয়ের গোলে ব্যবধান কমায় স্বাগতিকরা। তবে ৭৭তম মিনিটে জর্ডান হেন্ডারসনের ক্রসে ফিরমিনহোর হেড জাল খুজে পায়। শেষ দিকে অর্থাৎ ৮৪তম মিনিটে কর্নার থেকে পাওয়া বল সাদিও মানে হেড দিয়ে গোল মুখের খুব কাছে পাঠিয়ে দেন। সেখান থেকে আরও একটি হেড দিয়ে গোল করেন ভ্যান ডাইক।
এ জয়ে পোর্তোর ওপর আধিপত্য ধরে রাখল লিভারপুল। আগের সাত ম্যাচেও পর্তুগালের দলটির কাছে অজেয় ছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলটি। সাত ম্যাচের চারটিতে জিতেছিল তারা। বাকি তিনটি হয়েছিল ড্র।
আগামী ৩০ এপ্রিল সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ন্যু ক্যাম্পে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার মুখোমুখি হবে লিভারপুল।