ডিবিএন ডেস্কঃ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৭ কর্মীসহ নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ জনে। এছাড়াও আহত হয়েছে প্রায় ২৫০ জনের অধিক। আজ রবিবার (৫ জুন) এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
শনিবার রাতে আগুন লাগার পর রাত পৌনে ১১টার দিকে বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। রাত থেকে আজ সকালে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত একে একে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৩৮ জন হয়েছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট কাজ করছে। দগ্ধ ও আহতদের মধ্যে ১৯ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ২১ জন এবং পুলিশের ১০ সদস্য রয়েছেন বলে জানা যায়।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক সাংবাদিকদের বলেন, বিস্ফোরণে তাদের থানার কনস্টেবল তুহিনের এক পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আরও অন্তত ৫ কনস্টেবল, ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোতাহার হোসেন এবং শিল্প পুলিশের একাধিক সদস্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল ছাড়াও বেসরকারি ম্যাক্স, ন্যাশনাল, মেট্টাপলিটন হাসপাতালে আহতরা ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া সিএমইচ হাসপাতালেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা চিকিৎসাধীন আছেন।
এদিকে এ দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মাননীয় রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহতদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে, ইতোমধ্যে দুর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রনালয় আহতদের জন্য ১ কোটি টাকা ও ১ হাজার শুকনা খাবারের বরাদ্দ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার (৪ জুন) রাত ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কন্টেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুন লাগে। রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কন্টেইনার থেকে অন্য কন্টেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একটি কন্টেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।