আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (১৫ জুন) ভোর ৩টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।
ঢাকায় কামরানের সঙ্গে থাকা তার বড় ছেলে ডা. আরমান আহমদ শিপলু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে রাতেই তার মৃত্যুর খবর সিলেটে পৌঁছালে নগরবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
গত ৫ জুন করোনা আক্রান্ত হয়ে বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন কামরান। শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হলে গত শনিবার (৬ জুন) তাকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রোববার (৭ জুন) সন্ধ্যায় তাকে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল থেকে বিমানবাহিনীর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নেয়া হয়।
এরপর দিন ৮ জুন তাকে সিএমএইচে তাকে প্লাজমা থেরাপি দেয়া হয়। প্লাজমা থেরাপির পর কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠছিলেন তিনি। তবে তাকে সিএমএইচের আইসিইউতে রেখে অক্সিজেন সাপোর্টে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। রোববার রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং সোমবার ভোর রাত ৩টায় তিনি মারা যান।
সকালেই তার মরদেহ নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা করা হবে বলে জানিয়েছেন কামরান পরিবারের ঘনিষ্টজন যুবলীগ নেতা মেহেদী কাবুল। নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মরদেহ নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন পরিবারের লোকজন।
জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, করোনা আক্রান্ত কেউ মারা গেলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং লোকসমাগম না করে দাফন ও জানাযা করার নিয়ম থাকলেও বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ছিলেন সিলেটের গণমানুষের নেতা। তাই তার জানাযায় অনেক মানুষই চলে আসতে পারে। এক্ষেত্রে কী করণীয় তা নির্ধারণে বৈঠকে বসবেন তারা। এ নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন নেতারা।
কামরানের আগে গত ২৭ মে বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের স্ত্রী সিলেট মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসমা কামরানও করোনা আক্রান্ত হয়ে বাসায় আইসোলেশনে আছেন। বাসায় থেকেই আসমা কামরান সুস্থ হওয়ার পথে রয়েছেন।