মো:আমিন আহমেদ, সিলেট প্রতিনিধি: মহামারী করোনাভাইরাস বিপর্যয় কাটিয়ে উঠলেও রয়েছে তার রেশ, এরইমধ্যে বিপর্যয় কাটিয়ে উঠছে দেশের বিভিন্ন পর্যটনখাত। চলতি শীত মৌসুমের শুরুতেই বিভিন্ন পর্যটন স্পটে লক্ষ্য করা যাচ্ছে পর্যটকদের আগমন চোখে পড়ার মতো। এমন ভাবে পর্যটকদের ঢল নেমেছে গাড়ি পার্কিংয়ে স্থান দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
বিশেষ করে গত কয়েকদিন ধরে গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। বিভিন্ন স্পটে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ায় বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা।
বসন্ত স্পর্শে জেগে উঠেছে পর্যটন খ্যাত গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রকৃতি কন্যা জাফলং। বাঙালি তার ‘ঘরকুনো’ দুর্নাম ঘোচাতে যেন ভ্রমণ উৎসবে মেতে উঠেছে। প্রিয়জনের সাথে প্রিয় কিছু মুহুর্ত কাটাতে প্রকৃতি কন্যা জাফলং এখন ভ্রমণ পিপাসুদের ভিড়। বসন্তের আমেজ পেতে অগণিত পর্যটক দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন জাফলং। প্রতিদিন সকাল থেকে বিভিন্ন পয়েন্ট পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে। শুধু পর্যটন স্থান নয়; শতাধিক হোটেল মোটেল ও রিসোর্টে পর্যটকের উপচেপড়া ভিড়। পর্যটকদের সরব উপস্থিতি জাফলং পর্যটন স্পট যেন উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে।
বিশেষ করে জাফলং পর্যটন কেন্দ্র তার স্ব-মহিমা আর সৌন্দর্যে খুব সহজেই আকৃষ্ট করে আগত পর্যটকদের। প্রকৃতির ঢেলে সাজানো এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে সাধারণত দুর্গাপূজা ও ঈদ-পরবর্তী ছুটির দিনগুলোতে পর্যটনকেন্দ্র জাফলংয়ে থাকে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়। কিন্তু এসময় আগত পর্যটকদের আপ্যায়ন করতে এখানে এখনই প্রস্তুত রয়েছে আবাসিক-অনাবাসিক হোটেল রেস্তোরাঁ। গড়ে উঠেছে পর্যটনকেন্দ্রিক নানা ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে দেশি-বিদেশি কাপড় এবং কসমেটিকসহ নানা রকম উপহার সামগ্রী।