সিরিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠী রাজধানী দামেস্কের কাছাকাছি পৌঁছানোর খবরে ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে করে দেশ ছেড়ে যান দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। পরবর্তীতে জানা যায়, মিত্র দেশ রাশিয়ায় ছিল তার গন্তব্য।
আজ বুধবার রয়টার্স জানিয়েছে, আসাদকে ‘সর্বোচ্চ নিরাপত্তা’ দিয়ে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রায়াবকভ।
সের্গেই রায়াবকভ সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে একটি সাক্ষাৎকারে জানান, বিদ্রোহীদের ত্বরিত অগ্রযাত্রার মুখে বাশার আল–আসাদকে খুবই সুরক্ষিত উপায়ে দামেস্ক থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। তিনি এখন সম্পূর্ণ নিরাপদ। এখান থেকে প্রমাণ হয়েছে, নজিরবিহীন পরিস্থিতিতে রাশিয়া প্রয়োজন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়।
বাশার আল–আসাদকে এখন বিচারের জন্য ফেরত দেওয়া হবে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সরাসরি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত যে প্রচলিত ধারা চালু করেছে (গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি), তার সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
কী পরিস্থিতির কারণে তিনি রাশিয়ায় এলেন বা কীভাবে বিষয়গুলোর নিষ্পত্তি হবে, সেগুলো নিয়ে তিনি আর কোনো মন্তব্য করবেন না বলে জানান রায়াবকভ।
সিরিয়ায় রোববার (৮ ডিসেম্বর) বাশার আল–আসাদের সরকারের পতন ঘটে। বিদ্রোহী যোদ্ধাদের মাত্র ১২ দিনের অভিযানে ওই দিন ভোরের দিকে ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশ রাশিয়ায় পালিয়ে যান তিনি। এর মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় বাশার আল–আসাদের ২৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। তার বাবা হাফিজ আল-আসাদ ও ছেলে বাশার আল-আসাদ মিলে টানা ৫৩ বছর সিরিয়া শাসন করেছেন।
বাশার আল আসাদের পতনের তিন দিনের মাথায় সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিয়েছেন মোহাম্মদ আল-বশির। তার প্রতি আসাদকে উৎখাতকারী বিদ্রোহীদের সমর্থন রয়েছে। তবে বশিরের ইদলিব প্রদেশের বাইরে খুব একটা পরিচিতি নেই বলে প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়।
টেলিভিশনে এক বক্তব্যে বশির বলেন, তাকে অন্তর্বর্তী সরকারের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়েছে। ২০২৫ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত তিনি এ পদে থাকবেন।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম