ওয়ানডেতে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অভিষেকটা হল দারুণ। দেশের মাটিতে টাইগারদের ম্যাজিক্যাল অধিনায়ক মাশরাফির সম্ভাব্য শেষ ম্যাচে হেসে-খেলেই জয় তুলে নিল। একইসঙ্গে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত করল টাইগাররা। উইন্ডিজের দেয়া ১৯৯ রানের লক্ষ্যে ১১.৩ ওভার হাতে রেখেই ৮ উইকেটের জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। শুরুটা ভালো করেছিলেন দুই ওপেনার লিটন দাস এবং তামিম ইকবাল। সাদামাটা লক্ষ্য তাড়া করতে সাবলীল খেলতে থাকলেও দলীয় ৪৫ রানে ফিরে যান লিটন। ২৩ রানে কিমো পলের বলে রাভমন পাওয়েলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। এদিন টপ অর্ডারে সুযোগ পেয়ে সেটি দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন সৌম্য সরকার। তামিমকে শুধু সঙ্গই দিয়ে যানই। ক্যারিয়ারের সপ্তম অর্ধশতক তুলে নিয়ে দলকে সহজ জয়ের পথে এগিয়ে দিয়েছেন। শুরু থেকে কিছুটা দেখেশুনে খেললেও অর্ধশতক পূরণ হওয়ার পর ঝড় তোলেন সৌম্য। ৩৫ ওভার পর জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার যখন মাত্র ২৩ রান তখন সৌম্যর সেঞ্চুরি পূরণ করতে দরকার ছিল ২০ রান। অপরপ্রান্তে ৭১ রানে অপরাজিত তামিম টানা ডিফেন্স করে সৌম্যকে সুযোগ করে দেয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু পরের ওভারে ট্রাইকে গিয়েই বোল্ড হয়ে শতক পূরণের স্বপ্নভঙ্গ হয় সৌম্যর। সৌম্য ফিরে গেলেও জয়টা ততক্ষণে হাতে চলে এসেছে টাইগারদের। মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছতে তার বেগ পেতে হয়নি তামিমের। এরআগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সেই হোপের শতকে ১৯৮ রান তুলতে সক্ষম হয় ক্যারিবীয়রা। সংক্ষিপ্ত স্কোর: উইন্ডিজ: ১৯৮/৯ (৫০) হোপ ১০৮*, মোস্তাফিজ (১০-১-৩৩-০), মিরাজ (১০-১-২৯-৪), সাকিব (৯-০-৪০-২), মাশরাফি (৯-১-৩৪-২), সাইফুদ্দিন (৯-০-৩৮-১) মাহমুদুল্লাহ (৩-০-১৪-০)। বাংলাদেশ: ২০২/২ (৩৮.৩) তামিম ৮১ (১০৪)*, লিটন ২৩ (৩৩), সৌম্য ৮০ (৮১), মুশফিক ১৬ (১৪)*; পল (৭-০-৩৮-২)। বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী। ২-১ ব্যবধানে বাংলাদেশের সিরিজ জয়। ম্যাচসেরা মেহেদী হাসান মিরাজ।