গত ১০ জানুয়ারি রাজশাহী শিবগঞ্জ উপজেলার সাব-রেজিষ্ট্রার ইউসুফ আলী’র উপর দুষ্কৃতিকারিদের হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ রেজিষ্ট্রার অ্যসোসিয়েশন সারাদেশে অনিদিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দেয়। এজন্য গত ১১ ও ১২ জানুয়ারি দেশব্যাপি দলিল সম্পাদন বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশ রেজিষ্ট্রার অ্যসোসিয়েশনের আন্দোলন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল সাব-রেজিষ্ট্রার দলিল সম্পাদন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রেজিষ্ট্রার অফিস সূত্রে জানাযায়, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল সাব-রেজিষ্ট্রার আন্দোলনের অজুহাত দেখিয়ে গত ১২ জানুয়ারী অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে মোট ১৮ টি দলিল সম্পাদন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দলিল লেখক জুলফিকার আলী নেকমরদ বঙ্গবন্ধু কলেজের ৬ কোটি ১২ লক্ষ টাকা মূল্যের, মঞ্জু ২০ হাজার, মতি ৩৬ লক্ষ ১৭ হাজার, কামাল হোসেন ২ লক্ষ ৩২ হাজার এবং ১লক্ষ ৯৪ হাজার, মালেক ১ লক্ষ ৫০ হাজার, মোশারফ হোসেন ১ একর ৭৫ শতক জমি হেবা নামা, মিলন একটি বন্টন নামা ও ৪টি মর্গেজ পাওয়ার দলিল সম্পাদন করেন সাব রেজিস্টার।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন দলিল সম্পাদনকারী আক্ষেপ করে বলেন, ভাই সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসটি হচ্ছে দুর্নিতির স্বর্গরাজ্য এগুলো পত্রিকার পাতায় লেখে কি লাভ ?
এ ব্যপারে রাণীশংকৈল উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রার শফি আকরামুজ্জামানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ১২ জানুয়ারী দুপুর ১২টার পর আন্দোলন প্রত্যাহার হলে সে দলিলগুলি সম্পাদন করা হয়েছে। অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, মানুষ যদি বলে তাহলে আমার করার কি আছে।
ডিবিএন/এসডিআর/মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান