২০১৯ এর জানুয়ারি থেকে সারা দেশে ভ্যাট ব্যবস্থা অনলাইন করতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। ফলে ঘরে বসেই করদাতারা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল ও ভ্যাট পরিশোধ করতে পারবেন। এতে হয়রানি ও ভ্যাট ফাঁকি বন্ধ হবে বলে মনে করে এনবিআর। ডিসেম্বরে প্রথমে বৃহৎ করদাতা ইউনিটে পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন গ্রহণ করা হবে। এজন্য কমিশনারদের মতামত নিয়ে পরিবর্তিত ভ্যাট আইনকে বিবেচনায় রেখে নতুন অনলাইন রিটার্ন ফর্মও তৈরি করা হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের পর নতুন ফর্মের প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। ব্যবসায়ীদের বিরোধিতায় নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন পিছিয়ে গেলেও ভ্যাট ব্যবস্থা অটোমেশনের কাজ চালিয়ে যায় এনবিআর। এজন্য নয় ডিজিটের নতুন ব্যবসা শনাক্তকরণ নম্বর বিন দেয়ার কার্যক্রম শুরু করে ২০১৭’র মার্চে। তবে সফটওয়্যার আপডেট, বিধিমালা সংশোধন, রিটার্ন ফর্মে ত্রুটির কারণে বারবার সময় দিয়েও অনলাইন চালু করা সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে সব জটিলতার। মোট ভ্যাটের ৫৬ শতাংশ বৃহৎ করদাতা ইউনিট থেকে আসায়, এলটিইউতে প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইন রিটার্ন চালু করা হচ্ছে। আর আগামী বছরের জানুয়ারিতে চালু করা হবে সব ভ্যাট অফিসে । এতে ব্যবসায়ীদের সময় ও খরচ সাশ্রয় হবে এবং ভ্যাট ফাঁকি বন্ধ হবে বলে মনে করেন এনবিআর। আর অনলাইন চালু ছাড়া নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। রেজাউল হাসান (সদস্য, এনবিআর) এখন অনেক ডকুমেন্ট ফটোকপি করে দিতে হয়, কিন্তু এখন অফিসে বসে যেকোন কোম্পানি অডিট করা যাবে। আব্দুল মজিদ (সাবেক চেয়ারম্যান, এনবিআর) বাংলাদেশ যে অস্বচ্ছ ব্যবস্থাপনায় পরিপূর্ণ সেটিকে ডিসিপ্লিনে আনতে হলে এর বিকল্প নেই। অনলাইনিং না হলে নতুন আইন প্রবর্তন হবে না।অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে প্রস্তুতি চলছে বলে জানান করদাতারাও। আব্দুল আজিজ (উপ-ব্যবস্থাপক, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল) এটা আরো আগে হওয়া উচিত ছিল। আমরা এটাকে স্বাগত জানাই। বর্তমানে অনলাইনে ১ লাখ ৩০ হাজার প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন নিলেও রিটার্ন দাখিল করে মাত্র ৪০ হাজার প্রতিষ্ঠান।