ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছে বর্তমান সরকার। গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের গণযোগাযোগ অধিদফতর তরুণদের সচেতন হতে এসব পরামর্শ দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে-দেশে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির প্রসারের সঙ্গে বাড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার। তরুণদের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগের ব্যবহারও বাড়ছে। সবার জন্য ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগের খাতে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি একদিকে যেমন ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে, তেমনি এ খাতে সচেতন থাকাও এখন সময়ের দাবি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তরুণসহ সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। বলা হয়, ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহারে সচেতনতা জরুরি বলে মনে করছেন এ খাতের বিশেষজ্ঞরা। ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সদ্ব্যবহারের বিষয়টি এখন সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের বৃদ্ধির দ্রুততার পাশাপাশি এর ক্ষতিকর দিকটি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে অনলাইন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া খবর ছড়ানোর মতো কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এর বাইরে হ্যাকিং বা অন্যের তথ্য চুরি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অনলাইনে কাউকে হেয় ও কটূক্তি করা যাবে না। দেশের সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন সাইবার জগতে নিরাপদ থাকতে ব্যক্তিগত পাসওয়ার্ড বা অন্য কোনো সিকিউরিটি কোড অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না-এমনকি কাছের বন্ধু কিংবা কোনো স্বজনের সঙ্গেও না। একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য নিজে ব্যতীত অন্য কারও কাছেই সুরক্ষিত নয় বলে উল্লেখ করা হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। এতে আরও বলা হয়, অনলাইনে শুধু কারও ছবি দেখে বা প্রোফাইল দেখে কাউকে চেনা যায় না। অনেকেই মন্দ উদ্দেশে ভুল তথ্য দিয়ে রাখেন, অন্যদের সঙ্গে প্রতারণা করার জন্য। কাজেই অনলাইন থেকে কোনো অপরিচিতের সঙ্গে দেখা না করাই শ্রেয়। তবে একান্ত প্রয়োজনে নিজের নিরাপত্তার ব্যাপারটি আগে থেকেই নিশ্চিত করা উচিত। অনলাইনে ভুয়া পেজ খুলে প্রোপাগান্ডা ছড়ালে বিপদ ঘটতে পারে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের সদ্ব্যবহার করতে হবে। অনলাইনে সাইবার দুর্বৃত্তরা প্রতারণার জাল বিছিয়ে রাখে। একটু সচেতন হলেই এ থেকে সুরক্ষিত থাকা যাবে। কেউ অনলাইনে টাকা চাইলেই দেয়া যাবে না। অনলাইনে ভুয়া লিংকে ক্লিক করা বা শেয়ার না করাই শ্রেয়। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যাতে কেউ নিপীড়নের শিকার না হতে পারে, সে বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। যেসব পোস্ট অন্যকে বিব্রত করে, এ ধরনের আক্রমণাত্মক পোস্ট দেয়া থেকে বিরত থাকলে সাইবার দুনিয়ায় নিরাপদ থাকা যাবে। সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গণসচেতনতার বিকল্প নেই। সবাই সতর্ক থাকলে এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলো সমন্বয় করে কাজ করলে বাংলাদেশকে বহুলাংশে সাইবার নিরাপত্তা প্রদান করা সম্ভব। সাইবার দুনিয়ায় নিরাপদ থাকতে সবার নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীলভাবে কাজ করতে হবে। ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রচার কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ শীর্ষক কর্মসূচির অধীনে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সদ্ব্যবহারের বিষয়টি তুলে ধরতে কাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে তরুণদের সচেতন হতে ফেসবুক ও ইউটিউবেও বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছে গণযোগাযোগ অধিদফতর।