সামাজিক দূরত্বকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ঢাকায় ফিরছে মানুষ। কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌ-রুট হয়ে করোনার ঝুঁকি ও ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। মাওয়া ফেরিঘাটেও একই চিত্র।
বুধবার (২৭ মে) রাজধানীর প্রবেশ পথ কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌ-রুট, মাওয়া ফেরিঘাটসহ প্রায় সবখানেই এমন চিত্র দেখা যায়। তবে এবার গণপরিবহন না থাকায় জটলা নেই রাজধানীর বাস স্টপেজগুলোতে।
জানা গেছে, ঈদে গ্রামে যাওয়া একটি অংশ ব্যক্তিগত গাড়ি, রিজার্ভ ভাড়া গাড়িতে করে ঢাকায় ফিরছে। সে কারণে মহাসড়কে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের চাপ বেড়েছে। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেলের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, বুধবার ভোর থেকেই লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই কাঁঠালিয়া-শিমুলিয়া নৌরুটে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে।
সূত্র আরো জানায়, ভোরে ঝড় বৃষ্টির কারণে এক ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ রাখে ঘাট কর্তৃপক্ষ। এদিকে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘাটের পন্টুনের র্যাম ডুবে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
অন্যদিকে ঘাটের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলীয়া নৌ-রুট হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে বরিশাল, খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে ছোট যানবাহনে করে যাত্রীরা কাঁঠালবাড়ি ঘাটে আসছে। তবে ঘাট পর্যন্ত আসতে যাত্রীদের গুণতে হচ্ছে দেড় থেকে দ্বিগুণ টাকা।
এদিকে, মাওয়া ফেরিঘাটেও যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। নৌকা দিয়ে পদ্মা পাড়ি দিয়ে যাত্রীরা ছোট ছোট যানবাহনে করে ঢাকার দিকে আসছে। এ পথে মোটরসাইকেলে দুই-তিনজন করে যাত্রী তুলে ঝুঁকি নিয়ে ঢাকায় আসছে অনেকে।
অন্যদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। যানবাহনের মধ্যে বেশিরভাগই মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার। এর সঙ্গে ইজিবাইক, ভ্যান ও রিকশাও আছে। এসব যানবাহনে করে গাদাগাদি করে মানুষ ঢাকায় আসছে।
ডিজিটাল বাংলা নিউজ/ ডিআর/এমআরবি