ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অঢেল সম্পদের মালিক বনে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অন্তত ২০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ার অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে তার দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে এখন পর্যন্ত দুদক মামলা না করায় অসন্তোষ জানিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।
সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট সবই রয়েছে । নিজের পাশাপাশি সম্পদ গড়েছেন স্ত্রী, সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের নামে।
এখন পর্যন্ত অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য বলছে, বসুন্ধরা ও নিকুঞ্জ এলাকায় রয়েছে অন্তত দুটি বহুতল ভবন, ঢাকা মহানগর ও সাভারে অন্তত চারটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এছাড়া ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, গাজীপুর ও ফরিদপুরে অন্তত ২০ একর আবাদি ও অনাবাদি জমির খোঁজ মিলেছে। দুটি পরিবহন কোম্পানি ও একটি আইটি ফার্মের সিংহভাগের অংশীদার তিনি। আছাদুজ্জামান মিয়া ও তার পরিবার এবং পাঁচ আত্মীয়ের বিরুদ্ধে অন্তত ২০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে দুদক।
দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, আছাদুজ্জামান মিয়ার সম্পদের বিষয় খতিয়ে দেখতে আমাদের অনুসন্ধান টিম তদন্ত শুরু করেছে। কার্যক্রম অব্যাহত আছে। অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানানো হবে।
দুর্নীতি দমন কমিশন সাবেক মহাপরিচালক মঈদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, তখনকার সরকার তাকে ব্যবহার করেছে। আবার তাকে যে কোনো কিছু করতে ঢালাও লাইসেন্স দেওয়ার মতো করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে একের পর এক দুর্নীতি করে গেছেন তিনি। অনুসন্ধান নয়, পত্র-পত্রিকায় তার (আছাদুজ্জামান) নামে যেসব দুর্নীতির প্রমাণাদি পাওয়া যায়, এতে সরাসরি মামলা করা যায়। মামলা করেই দুদকের মাঠে নামা উচিত ছিল বলে আমি মনে করি।
উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মহাখালী থেকে গ্রেফতার হন আছাদুজ্জামান মিয়া। ডিএমপি কমিশনার থেকে অবসরে যান ২০১৯ সালে। পরে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত সেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেয় আওয়ামী লীগ সরকার।
আজ ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১০:২২ | বৃহস্পতিবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি