মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্য প্রকাশ হয়েছে। যারা দলের নাম ভাঙ্গিয়ে অর্থ উপার্জন করছে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ার করেছেন। এই উদ্যোগটি নিতে পারলে সত্যি দেশের জন্য মঙ্গল হবে। এতদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি হয়েছে। এবার যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গোচরিভুত হয়েছে কাজ হবে আশাকরি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া কোন কিছুই কার্যকর হয়না দেশে।
করোনার কারনে কোন রাজনৈতিক কর্মসুচি নেই। সরকার করোনা মোকাবেলা করছে শতর্কতার সাথে। কেউ কেউ ভেকসিন নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করেছে, সফল হয়নি। সরকার সব কিছু ভালভাবেই সামাল দিচ্ছে। কিন্তু প্রায় দু’বছর ধরে বন্ধ থাকা ব্যবসা বানিজ্যের ক্ষতিটি এখন অনুভুত হচ্ছে দেশে। বিদেশ থেকে আসা রেমিটেন্স প্রাপ্তিও কমে গেছে সঙ্কাজনকভাবে। রপ্তানী শিল্পের অবস্থাটি ভাল নেই। অনেক রপ্তানী শিল্প এখন ভিয়েতনামের দিকে ঝুকে পরেছে। বৃহৎ রপ্তানী খাত গার্মেন্টসের উপর চাপ সৃষ্টি হলে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা অসম্ভব হয়ে পরতে পারে। এমন অবস্থাতেও নিত্য খবর আসছে নানা অপকর্মে জড়িত দলের ভুঁফোর নেতারা। আবার কেউ কেউ জনসংযোগ করছে নির্বাচনি প্রার্থীদের মত করে। দেখে মনে হয় যেন নির্বাচন অত্যাসন্ন। বিধিনিষেধ মান্য করছেনা করোনা সংক্রমনেরও। এলাকায় উপস্থিতির জানান দিচ্ছে নিয়মনীতি ছবি পোষ্ট করে। নগদ অর্থ পেয়ে রাজনীতি করছে নিজেদের মত করে। দলের নির্দেশ ছাড়া রাজনৈতিক কার্যক্রম সিদ্ধ নয়। দলের নির্দেশ মান্য করাই রাজনৈতিক কর্মীর প্রধান দায়িত্ব। অসামাজিক কাজেও রাজনৈতিক নেতাদের নাম জড়িয়ে যাচ্ছে। দেশের মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে, সমর্থন হারাচ্ছে দল। এমনটি প্রত্যাশিত নয়। নির্দেশ অমান্যকারিদের বিরুদ্ধে দলকে কঠিন হতেই হবে। না হয় সরকারের সাফল্য বিফলে যাবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গনভিত্তি আদর্শের। সর্বস্তরে এই দলের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এই গনভিত্তিকে দুর্বল করে দিচ্ছে কতিপয় নেতা এবং তাদের দোসররা। দলকে এবং দলের জনসমর্থনকে ধরে রাখতে হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হুশিয়ারী কার্যকর হওয়া জরুরী। দল কাউকে ইচ্ছেমত রাজনীতি করার লাইসেন্স দেয়নি।
একটি অশুভ চক্র দীর্ঘদিন ধরেই সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম মিথ্যাচার করে চলেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে নিত্য ক্যম্পেইন চালাচ্ছে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে। বিদেশে বসে এই চক্রটি সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করছে। তাদেরকে অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করছে বি এন পি’র পলাতক নেতা তারেক জিয়া। করোনা ছাড়া দেশের সার্বিক অবস্থা অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে ভাল। প্রসাদ ষরযন্ত্রের হোতারা বরাবরের মত ভারত ইস্যুকেই ব্যবহার করছে কৌশল হিসাবে। আওয়ামী লীগের কর্মীরা জনগনকে জানাতে ব্যর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ সর্ব বিষয়ে ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। কুটনৈতিক কৌশলেও হাসিনা সরকার এগিয়ে রয়েছে এ কথা ভারতের গনমাধ্যমেই প্রচার হয়েছে। গতকাল কানাডা থেকে একজন কেপ্টেন শহীদ (অবসর প্রাপ্ত) বাংলাদেশকে ভারতের পাপেট বলে যে মনগড়া বক্তব্য দিয়েছে তা কল্পনাপ্রসুত বিশেষ দলের চাটুকারিতা ছাড়া আর কিছু নয়। সামরিক বাহিনী থেকে অবসরে যাওয়া একজন অখ্যত কেপ্টেন নিজেকে রাজনৈতিক পন্ডিত ভাবা বাতুলতা। প্রায়ই এই কেপ্টেন কানাডায় বসে যাচ্ছেতাই ভাবে রাজনীতি বিশ্লেষন করে চলেছেন। বিষাদগার করছেন বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে। তার সংশ্লিষ্ঠতা ইতিমধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে এবং তিনি গোয়েন্দাদের নজরদারিতে রয়েছেন। এমন আরও অনেকেই প্রচারনা চালাচ্ছেন গনমাধ্যমে। ভারত বিদ্বেষী বলে ভয়ের কিছু নেই কিন্তু এরা দেশ বিরোধি প্রচারনা চালাচ্ছে। এই স্বঘোষিত পন্ডিতরা নিউজ দেখেন কিনা জানিনা। ভারতীয় মিডায়া এখন মোদি সরকারকে দায়ী করে সংবাদ প্রচার করছে। নরেন্দ্র মোদির কুটনীতি শেখ হাসিনার কাছে পরাস্থ হয়েছে বলেও দাবী করছে ভারতীয় গনমাধ্যম। প্রবাসী কর্মী হিসাবে এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ দরকার। যারা প্রবাসে বসে প্রতিনিয়ত সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদেরকে প্রতিহত করা দরকার৷ জনগন তাদেরকে চিনে নিয়েছে কারন গোপনে থাকা কুচক্রিদের কোন বক্তব্যেরই সত্যতা মিলেনি। তবে তাদের অজ্ঞতাটি দেশ এবং জাতীকে ক্ষতিগ্রস্থ্য করছে। প্রবাসী বাংলাদেশীদের উচিৎ এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া।
আজিজুর রহমান প্রিন্স,
কলামিস্ট, ঢাকা, বাংলাদেশ।