বাঙালীর জীবনে ভাল সংবাদ খুব একটা আসেনি। স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশকে নিয়ে নানা রকম বিদ্রুপ শুনতে হয়েছে। কেউ বলেছে তলাবিহীন ঝুড়ি আবার কেউ বলেছে সমস্যার দেশ। দরিদ্রতার কথা মুখে মুখেই ছিল। বন্যা খড়া জলোচ্ছাস আর অশান্ত রাজনীতি বিশ্ব খবরের শিরোনাম হয়েছে বার বার। অস্থিত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে অনেক দেশ। স্বাধীনতার সূবর্ন জয়ন্তিতে সেই দেশকেই স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় স্থান দিয়েছে জাতিসংঘ। বিশ্ব নেতারা বাংলাদেশকে উন্নয়নের মডেল রষ্ট্র হিসাবে পরিচয় দেন। করোনার আক্রমনে বিশ্ব যখন পর্যদুস্থ্য তখন গুটি কয়েক দেশের সাথে বাংলাদেশের উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে সর্বোচ্চ সুচকে। কৃষি উৎপাদন আর রপ্তানী প্রতিবেশি রাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে।করোনায় এক কোটি মানুষের প্রানহানির আসঙ্কা করেছিল বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা। সেই অনুমান সত্য হয়নি। বরং কানাডার মত উন্নত দেশ যখন ভ্যাকসিন আনতে পারেনি তখন, বাংলাদেশের মানুষ বিনামূল্যে ভ্যাকসিন নিচ্ছে প্রতিদিন। মৃতের সংখ্যাও আমেরিকা বা ইউরোপের অনেক দেশের একদিনের মৃত্যু সংখ্যাটি অতিক্রম করেনি। এটি নিঃসন্দেহে শুভ সংবাদ।
এই সাফল্যের পিছনে নেতৃত্বের দুরদর্শিতা অবশ্যই গন্য হতে হবে। বাস্তবতাটি অনুমান করে বিপর্যয় মোকাবেলায় সরকারের প্রতিটি পরিকল্পনা এবং পদক্ষেপ ছিল সময়োপযোগি। এই কৃতত্ব অবশ্যই সরকার এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর। এই দুঃসময়েও ছিন্নমুল মানুষের জন্য স্থায়ী আবাসন গড়ে দিয়ে দেশের জনগনের প্রতি নেতৃত্বের প্রমান দিয়েছেন।
কিন্তু কিছু মানুষ এই করোনার দুর্যোগকে ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়াতে অন্তহীন প্রচারনা চালিয়েছে। দুর্নীতি, অর্থলোপাট সহ নানা অভিযোগ তুলে অসত্য প্রচার চালিয়েছে। এই অভিযোগ সত্য হলে দেশের এই পরিবর্তন সম্ভব হল কিভাবে। পদ্মা সেতুর মত মেগা প্রকল্প, মেট্রো রেল এবং সড়ক যোগাযোগের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হল কি করে? করোনার ভ্যাকসিন নিয়েও জনগনকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। এখন তারাই আবার ভ্যাকসিন পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ করছে। নেতাদের বক্তব্য সরকারের বিরুদ্ধে হবে এটাই স্বভাবিক কিন্তু অবাস্তব, অসত্য বক্তব্য কাম্য নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সাদাকে সাদা আর কালোকে কাল বলুন- সত্য বলুন। এখন সুষ্ঠ রাজনীতির স্বার্থেই রাজনৈতিক নেতাদের সরকারের সাফল্য স্বীকার করা উচিৎ না হয় জনগন তাদের প্রত্যাখ্যান করবে নিশ্চিত। বিশ্বসভায় বাংলাদেশের এই অবস্থান আরও সুদৃঢ় হবে এবং বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তরিত হবে আশাকরি। জননেত্রী শেখ হাসিনা তার সুযোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে ইপ্সিত লক্ষ্যে পৌছে দিবেন প্রত্যাশাকরি।
[বি.দ্রঃ মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। লেখকের মতামত,বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না ও এর জন্য সম্পাদক কোনভাবে দায়ী নন। ]