মোঃ সদরুল কাদির (শাওন), সাতক্ষীরা:: সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে এবার গরুর পরিবর্তে আসছে গরুর মাংসের ভিতরে মাদক। সদর উপজেলার তলুইগাছা বিওপির আওতাধীন চারাবাড়ি সীমান্ত দিয়ে আনা হচ্ছে এই মাদক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক লোকজন জানান, ভারতীয় মরা রুগ্ন গরু জবাই করে সে দেশের চোরাকারবারীরা এই মাংশ বাংলাদেশের চোরাকারবারীদের হাতে তুলে দিচ্ছে। আর এই গরুর মাংসের ভিতরে আনা হচ্ছে ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাজাসহ বিভিন্ন মাদক। পরে মাংশের ভিতর থেকে মাদক বের করে কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে এই মাংস।
আর চোরাকারবারীদের এই কাজে সহযোগিতা করছে সোর্স পরিচয় দানকারি জনৈক লিয়াকাত। অভিযোগ রয়েছে এক শ্রেনীর অসাধু বিজিবি সদস্য এই লিয়াকাতকে পরোক্ষভাবে সগযোহিতা করছেন।
স্থানীরা জানান, প্রতিদিন ভোর হতে না হতেই সাতক্ষীরার চারাবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে আসে গরুর মাংস। আর এই গরুর মাংশের ভিতরে আনা হচ্ছে ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাজাসহ বিভিন্ন মাদক। মাংশের ভিতর থেকে চোরাকারবারীরা মাদক বের করে নেয়ার পর এই মাংশ ব্যবসায়ীদের কাছে কম দামে বিক্রি করা হচ্ছেঅ তারা এটা আবার বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করছেন।
সীমান্তের কিছু অসাধু বিজিবি সদস্য এই মাংস পাচারে সহযোগিতা করছেন। আর সোর্স পরিচয়দানকারী লিয়াকাত এই সেন্ডিকেট নিয়ন্ত্রন করছেন। আর তার সাথে আছে মাদক ব্যবসায় রবিউল, জুলফিকার ও মুকুল। লিয়াকাত নিজেই ১১ মামলার আসামী। এসব মামলায় জামিন নিয়ে সে আবার এই চোরাকারবারী শুরু করেছে। সে নিজেকে সোর্স হিসেবে পরিচয় দেয়।
বরিউল একাধিক মাদক মামলার জেলও খেটেছে। আর জুলফিকারের ভাই কালাম মাদক ভাগাভাগি নিয়ে গুলিতে নিহত হওয়ার পর তার ব্যবসার হাল ধরে জুফিকার। বর্তমানে দেশে মাদক বিরোধী অভিযান চলায় এই চোরাকারবারি সিন্ডিকেট মাংসের ভিতরে করে নিয়ে আসছে মাদক।
অন্যদিকে, এই মরা রুগ্ন গরু মাংস খেয়ে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বলে জানা গেছে। এদিকে মাংশের ভিতরে আনা এই মাদকে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ ।
সাতক্ষীরার ৩৩ বিজিবির আওতাধীন তলুই গাছা ক্যাম্প কমান্ডার অলিউল আলম জানান, মাদকের বিরুদ্ধে তারা কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। ইতিমধ্যে ১৫ কেজি গাজা ও ১৫ কেজি মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, অভিযান অব্যহত রয়েছে।