সাতক্ষীরা প্রতিনিধি::
সাতক্ষীরা’র রসুলপুর এলাকায় নারী ও শিশু নির্যাতন এর অভিযোগসহ এক ব্যবসায়ী কে হত্যার হুমকি দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুধু তাই নয় ঘরে থেকে সিমেন্ট বিক্রয় এর সাপ্তাহিক কালেকশন এর টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই মর্মে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় যে, ভিকটিম মোছাঃ নুরজাহান বেগম (৪০), স্বামী- আনোয়ার হোসেন, সাং- রসুলপুর পুলিশ লাইনের পিছনে, থানা ও জেলা- সাতক্ষীরা। অনুমান ১৬ বছর আগে বাদীনি নুরজাহান বেগম এর স্বামী মোঃ আনোয়ার হোসেন জনৈক এরশাদ আলী এর নিকট হইতে ০৫ শতক জমি ক্রয় করে। কিন্তু ঐ জমিতে যাতায়াতের পথ না থাকায় নুরজাহান কিনতে অস্বীকার জানায়। তখন নুরজাহান বেগম এর বাবা শফিকুর রহমান শফি পথ দেয়ার অঙ্গীকার করে। সেই অনুযায়ী আনোয়ার হোসেন উক্ত জমি ক্রয় করে। এরপর সেখানে বাড়ীঘর করে ভাড়া দিয়ে ভোগদখল করতে থাকে।
কিন্তু নুরজাহান বেগম এর বাবা ও ভাইয়েরা পরবর্তীতে চলাচল এর রাস্তা দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং ভাড়াটিয়াদের নিয়মিত চলাফেরায় বাধা দেয় গালিগালাজ করে। প্রায়ই আসামীরা নুরজাহান বেগম এর ছেলে-মেয়েদের মারধর করে।
গত ২৭/০১/২০২১ ইং তারিখ বুধবার বিকাল অনুমান ০৩.০০ টার দিকে ১। মোছাঃ তানজিলা ওরফে সুমি (৩০), পিতা- টিকা, স্বামী-মনিরুল ইসলাম বুলু, ২। মনিরুল ইসলাম বুলু (৩২), ৩। নজরুল ইসলাম (৩০), ৪। শহিদুল ইসলাম কালু (৩৬), সর্বপিতা- শফিকুর রহমান শফি, সাং- রসুলপুর পুলিশ লাইনের পিছনে, থানা ও জেলা- সাতক্ষীরা, নুরজাহান বেগম এর ছোট ছেলে ইসমাইল হোসেন এবং নুরজাহান বেগমকে বেধড়ক মারধর করে। এবং নুরজাহান বেগম এর স্বামী মোঃ আনোয়ার হোসেন কে খুন জখমের হুমকি দিতে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় ইং-২৮/০১/২০২১ তারিখ বৃহস্পতিবার বিকাল অনুমান ০৫.০০ টার দিকে উক্ত আসামীরা লাঠি লোহার রড নিয়া এসে নুরজাহান বেগমের বাসায় অনধিকার প্রবেশ করে তাকে সহ তা মেয়ে ও ছেলেকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে।
এরপর নুরজাহান বেগম এর ভাই মনিরুল ইসলাম বুলু ও মোছাঃ তানজিলা ওরফে সুমি ঘরের লকারে থাকা সাপ্তাহিক সিমেন্ট বিক্রির ৪,৫০,০০০/= টাকা নিয়ে নেয়। অন্যদিকে নজরুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম কালু ঘরে মধ্যে রক্ষিত সোনা গহনা মোট ০৫ ভরি মুল্য অনুমানিক ৩,৫০,০০০/= টাকা নিয়ে নেয়। এবং পরে লাঠি সোটা দিয়া ঘরবাড়ী ভাংচুর করে অনুমানিক ৫০,০০০০/= টাকার ক্ষতিসাধন করে।
এখানেই আসামীরা ক্ষ্যান্ত হয়নি নুরজাহান বেগমের চলাচলের পথে পাচিল দিয়ে দেয় এবং নুরজাহান বেগমের পরিবারের সদস্যদের জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তাদের কে বের করে দেয়। পরবর্তীতে ভাড়াটে গুন্ডা ও সন্ত্রাসী বাহিনী সাহায্য নিয়ে দা, লাঠি-সোটা নিয়ে নিয়মিত খুন জখম করার হুমকি দিতে থাকে।
ঘটনার ঘটনার সময় নুরজাহান বেগমের বড় ছেলে ইয়াছিন ও প্রতিবেশী হাবু, পিতা- মোঃ মুনছুর আলী সহ আরো অনেকে ছুটে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করে।
এরপর নুরজাহান বেগমের স্বামী মোঃ আনোয়ার হোসেন তাকে চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগ নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেয়।
তখন নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে উপরোক্ত আসামীগণের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তার (ডিউটি অফিসার) কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।