স্পোর্টস ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স খুব একটা সাফল্য পাচ্ছে না। কদিন আগে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চরম ব্যর্থ হয়ে হেরেছে বাজে ভাবে। পরে অধিনায়ক বদল। আর তাই সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে ফিরিয়ে নতুন আশার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে লড়ায়ে নামছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে ম্যাচটি। সাকিবের নেতৃত্বে আসন্ন এই সিরিজে কেমন করবে বাংলাদেশ সেসব নিয়ে চলছে আলোচনা। তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন সাকিব। তাঁর অধীনে এবার পুনরুজ্জীবিত হবে দল সেই আশা করছেন সবাই।
২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই প্রথমবার অধিনায়ত্ব পেয়েছিলেন সাকিব। তখন তাঁর নেতৃত্বে দুই ম্যাচের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ। এরপর ২০১১ সালে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সাকিবকে। কিন্তু ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজে আবারও অধিনায়কত্ব পান তিনি।কিন্তু ২০১৯ সালে আইসিসি নিষিদ্ধ করে সাকিবকে। আর তাই প্রথম টেস্টের স্পটলাইটে রয়েছে সাকিবের অধিনায়কত্বের বিষয়টি।
সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, আমরা সাম্প্রতিক সময়ে টেস্টে ভালো খেলছি না। তবে আমি ভাবছি এখানে ভালো খেলে সবাইকে ভুল প্রমাণ করা সম্ভব। এখানে টেস্টে ভালো করলে পুরো সিরিজের জন্যও আমরা মোটিভেটেড হতে পারব।
সাকিবের মতে, সে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তিত নয় বরং দলের পারফরম্যান্স নিয়ে ভাবছেন। তাই তিনি বলেন, আমাদের ওপেনার জয় দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ডে ভালো করেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তার জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে আমি আশা করি, সে যথেষ্ট যোগ্য আর সে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আরও অনেক কিছু দেবে। রাজার দিকে আমরা নজর রাখতে পারি। এ ছাড়া মেহেদী মিরাজ দলে ব্যাক করেছে। সোহানও নিজেকে প্রমাণের চেষ্টায় আছে। আশা করি, তারা বাংলাদেশকে জয় এনে দেবে।
উল্লেখ্য, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ১৬টি টেস্ট খেলেছে। যার চারটিতে জয়, ১০টিতে হার ও দুটিতে ড্র হয়।