প্রথম ওভারের প্রথম দুই বলে তাসকিনের জোড়া আঘাতের পর চতুর্থ ওভারে এসে জোড়া উইকেট নেন বাংলাদেশের দলপতি সাকিব আল হাসান। ৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা নেদারল্যান্ডসের হাল ধরেন কলিন অ্যাকারম্যান ও স্কট এডওয়ার্ডস জুটি। দীর্ঘক্ষণ বাংলাদেশকে উইকেট না দিয়ে খেলায় চালকের আসনে বসে ডাচরা।
কিন্তু এই জুটির ভাঙ্গনটি আসে অধিনায়ক সাকিবের হাত ধরেই দলীয় ৫৯ রানে স্কট এডওয়ার্ডসের উইকেট নিয়ে খেলা নিজের কোর্টে নিয়ে আসেন সাকিব। সাকিবের পরের ওভারে (১২.৪) ডাচদের আরেকটি উইকেটের পতন ঘটান তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ। টিম প্রিঙ্গলকে বোল্ড করে উল্লাসে মেতে উঠেন এই তরুণ তুর্কি। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত, জয়ের জন্য নেদারল্যান্ডের প্রয়োজন ৪৩ বলে ৭৯ রান। হাতে আছে ৪ উইকেট। বৃষ্টির হানায় বর্তমানে ম্যাচটি বন্ধ রাখা হয়েছে।
এর আগে, মোসাদ্দেকের ছোট ক্যামিও বাংলাদেশকে লড়াই করার মতো কিছু পুঁজি এনে দেয়। তার ১২ বলে ২০ রানের ইনিংসটির ফলে ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৪ রানের সংগ্রহ পায় টাইগাররা। জয়ের জন্য নেদারল্যান্ডের প্রয়োজন ১৪৫ রান। বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভসের নিজেদের প্রথম ম্যাচে সোমবার (২৪ অক্টোবর) টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালোই সূচনা এনে দেয় দুই ওপেনার শান্ত ও সৌম্য।
শেষে মোসাদ্দেকের ছোট ক্যামিও বাংলাদেশকে লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দেয়।
প্রথম ৫ ওভারেই ৪৩ রান করেছিলেন এই জুটি। কিন্তু ৬ষ্ঠ ওভারে শুরু হয়ে বাংলাদেশের বিপর্যয়। ৬ষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে বিদায় নেন সৌম্য সরকার। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে বিদায় নেন শান্তও। দুই ওপেনারকে হারিয়ে ভরসা যা ছিল, তা লিটন এবং সাকিব। কিন্তু এই জুটিও চরম হতাশ করে বাংলাদেশের সমর্থকদের। ৯ম ওভারের চতুর্থ বলে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন লিটন। পরের ওভারেরই প্রথম বলে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচের শিকার হন সাকিব।
এরপরই ম্যাচে কিছুক্ষণের জন্য হানা দেয় বৃষ্টি। ফলে কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে খেলা। এরপর আবারও খেলা শুরু হয়। বৃষ্টি শেষ হওয়ার ৯ বল পরই বোল্ড হয়ে গেলেন সাজঘরে ফেরেন ইয়াসির রাব্বি। পল ফন মিকেরেনের ইয়র্কার লেন্থের বলটিকে ঠেকানোর সাধ্যই ছিল না যেন ইয়াসিরের। এরপর সোহানকে সঙ্গী করে ম্যাচের হাল ধরে ছিলেন আফিফ। প্রায় ৭ ওভার পিচে থেকে রানের চাকা সচল রাখে এই জুটি। ১৭ তম ওভারে এই জুটির বিচ্ছেদ হয় সোহানের বিদায়। একই ওভারে উইকেট বিলিয়ে আসেন আফিফও। এক ওভারে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন বাস ডি লিডি। শেষে মোসাদ্দেকের ছোট ক্যামিও বাংলাদেশকে লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দেয়।
বাংলাদেশ একাদশ
সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, আফিফ হোসেন ধ্রুব, ইয়াসির আলী রাব্বি, নুরুল হাসান (উইকেটরক্ষক), মোসাদ্দেক হোসেন, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান।
নেদারল্যান্ডস একাদশ
ম্যাক্স ও’দাউদ, ভিক্রমজিত সিং, বাস ডি লিডি, কলিন অ্যাকারম্যান, টম কুপার, স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), টিম প্রিঙ্গল, লোগান ফন বিক, ফ্রেড ক্লাসেন, পল ফন মিকেরেন এবং শারিজ আহমাদ।