সাবিক ওমর সবুজ, নিজস্ব প্রতিবেদনঃ “সুস্থ সংস্কৃতির নান্দনিক বিকাশ ও নৈতিকতা সম্মৃদ্ধ সমাজ” এই স্লোগান সামনে রেখে সমন্বিত সাংস্কৃতিক সংসদ (সসাস) কর্তৃক জাতীয় সঙ্গীত কর্মশালা গত ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
এই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সসাসের নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট কলামিস্ট ও গবেষক রাশেদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, গীতিকার ও সুরকার তাফাজ্জল হোসাইন খান ও জনাব রাজিবুর রহমান।
কর্মশালায় সংস্কৃতি ও ইসলাম বিষয়ে আলোচনা করেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান এবং আল্লাহর বান্দার পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য বিষয়ে আলোচনা করেন সসাসের সাবেক নির্বাহী পরিচালক আব্দুল আলীম।
সসাস কর্তৃক পরিচালিত সারা দেশের প্রায় দেড় শতাধিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের কণ্ঠশিল্পী, তরুন কবি, গীতিকার ও সুরকারদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন বিশিষ্ট সুরকার ও শিল্পী গোলাম মাওলা, বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী আবু বকর সিদ্দিক, কবি ও গীতিকার আবু তাহের বেলাল, বিশিষ্ট সুরকার ও শিল্পী মশিউর রহমান, প্রফেসর সাইফুল আরেফীন এবং বিশিষ্ট নজরুল শিল্পী সালাহউদ্দিন আহমেদ।
প্রধান অতিথি রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমরা ছাত্রজীবনে সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অত্যধিক সক্রিয় ভূমিকা পালন করে থাকি। যখন কর্ম জীবনের সামগ্রিক পেরেশানি, অভাব-অনটন, দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়ে আল্লাহ আমাদের পরীক্ষা করেন, তখন মনে হয় এই সংস্কৃতি, সঙ্গীত, নাটক দিয়ে কোনো কাজ হবে না। তখনই আল্লাহর উপর আমাদের ভরসা করা উচিৎ। তিনি বলেন, সঙ্গীত শিল্পী হতে হলে সঙ্গীত সম্পর্কে ভালো জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এছাড়াও তিনি বলেন, আমরা যদি ব্যক্তি জীবন পরিশুদ্ধ করতে চাই তাহলে সর্বাবস্থায় হিংসা-গীবত, পরনিন্দা, চোগলখোরি, উপহাস, অহংকার থেকে বিরত থাকতে হবে। সর্বদা প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য পাপ থেকে মুক্ত থাকতে হবে।
দু’দিনব্যাপী উক্ত কর্মশালা পরিচালনা করেন সসাসের সহকারী নির্বাহী পরিচালক সাইদুল ইসলাম। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন রাশেদুল ইসলাম, তৌহিদুজ্জামান, মোশাররফ মুন্না, মিজানুর রহমান, নাজমুস সাকিব, মুরসালিন সরকার, মো. মাহদী হাসান, ডি এম যুবায়ের ইসলাম, ওয়াহেদুজ্জামান আহমেদ, জাকির হোসাইন, শাফায়াত হোছাইন, আবু জার গিফারী, এম. ইস্পাহানী সরকার, তারিকুল ইসলাম সহ প্রমুখ।