ঘূর্ণিঝড় আম্ফান বাংলাদেশ সীমান্তের কাছ দিয়ে প্রবেশ করলেও মূলত তাণ্ডব চালিয়েছে ভারতে । আইলার থেকেও বেশি গতি নিয়ে তা আছড়ে পড়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে এখনো চলছে আম্ফানের তাণ্ডব। আর সেই তাণ্ডব দেখে থমকে গেছেন পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। ভারতের গণমাধ্যমে তিনি এই ঝড় সম্পর্কে জানাতে গিয়ে বলেন, সর্বনাশ হয়ে গেছে। ধ্বংস করে দিয়ে গেলো সব।
সকাল থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নবান্নের কন্ট্রোল রুমে বসে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছিলেন। প্রতি মুহূর্তের খবর এসেছে তাঁর কাছে। রাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এই বিল্ডিংয়ের (নবান্ন) অনেক ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে গিয়েছে অর্ধেক বিল্ডিং। এখানেই যদি এই অবস্থায় হয়, আপনারা কল্পনা করতে পারছেন, সারা বাংলা জুড়ে কী তাণ্ডব হয়েছে!’
বিশ্ব জুড়ে চলছে করোনা ভাইরাসের মহামারী। তারই মধ্যে আম্ফান ভারত ও বাংলাদেশের জন্য নতুন এক বিপদ ডেকে এনেছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ আম্ফান মোকাবেলায় শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, একদিকে কোভিড দুর্যোগ,আর অন্যদিকে ঝড় দুর্যোগ। সাংঘাতিক কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করছি আমরা। আমি আজ নিজে উপলব্ধি করলাম। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। টোটালটাই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ব্রিজ, রাস্তা, ঘরবাড়ি সবটা। সব খবর তো এখনও পাইনি। যা খবর পাচ্ছি, ১০-১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেশিরভাগই গাছ ভেঙে মারা গিয়েছে। ৫ লক্ষ মানুষকে সরাতে পেরেছি। পুরোটা হিসেব করতে পারিনি। বিদ্যুত সংযোগ নেই। স্তম্ভিত, খুব খারাপ লাগছে। মাস ছয়েক আগে বুলবুল (ঘূর্ণিঝড়) থেকে বাঁচাতে সম্পূর্ণ অংশটুকু মেরামত করে দিয়েছিলাম।’