আরও একটি রাজনৈতিক দলের অভিষেক হল। ১৬ কোটি মানুষের দেশে এত দলের প্রয়োজনীয়তাটি ভাবনার বিষয় বটে। দল গঠন দোষের নয় তবে এই দল গঠনের প্রক্রিয়াটি ছিল অভিনব। একজন অন্যজনকে প্রস্তাব করে নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। আহ্বায়ক হয়েছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী এ এস এম কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া এবং সদস্য সচিব হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভি পি নূরুল হক। তারা দুজনেই নানা কারনে রাজনীতিতে আলোচিত। ড. কিবরিয়া গত নির্বাচনে ধানের শীষ নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন হবিগঞ্জ থেকে। ড. কামাল হোসেনের গনফোরামেরও মহাসচিব ছিলেন তিনি।
অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলেন আরেক ডাক্তার জনাব জাফরউল্লা চৌধুরী। চৌধুরী সাহেব নতুন দলের প্রতি আগ্রহ একটু বেশী। কামাল হোসেনের গনফোরামেও তার স্বরব উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যনীয়। তিনি সরকারের পতন চান। যেন বর্তমান সরকারের পতন হলেই তর তর করে দেশ উন্নত হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তব চিত্রটি কি খতিয়ে দেখা দরকার।
বাংলাদেশ গত ১২ বছরে উন্নতির শিখরে পৌছে গেছে। ৫০ বছরে অন্য কোন সরকার এমন সাফল্য দেখাতে পারেনি। উন্নয়নের পাশাপাশি অর্থনৈতিক ভাবেও দেশ এখন স্বাবলম্বি। খাদ্য ঘটতি পুরন করে বাংলাদেশ এখন খাদ্য রপ্তানিকারী দেশ। রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ন্ত্রন করে দেশ এখন উৎপাদনমূখী। সব সূচকেই বাংলাদেশ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের চেয়ে এগিয়ে। প্রবৃত্তির হারও ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। এমন অবস্থায় নতুন দল গঠনের প্রয়োজন হল কেন? কারন একটা অবশ্যই আছে।
তিনটি নির্বাচনে বি এন পি জামাতের অবস্থান হতাশ করেছে অনেককে। দেশকে পুর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নিতে যারা সর্বদা ব্যস্ত তাদের উদ্দেশ্য সফল করতেই নতুন দল গঠিত হয়েছে। ধর্মানুভুতিকে উস্কে দিয়ে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায় তারা। বি এন পি নেতৃত্বহীন আর জামাত নিষিদ্ধ। জাতীয় পার্টি সরকারী জোটে। গনফোরাম বিভাজিত আর দলছুট নেতারা সকলেই ব্যর্থ। সকলেই আওয়ামী লীগ বিরোধী। এই জন্যই বলা হয় দেশে দুটি দল স্বক্রিয়। একটি আওয়ামী লীগ এবং অন্যটি সব দলের জোট। নতুন দলের ভবিষ্যত নিয়ে অনেকের উৎসাহ থাকতে পারে। তবে নতুন দলের ভবিষ্যত নির্ভর কোন জোটে তাদের অবস্থান কেমন হবে! এই দলই শেষ দল বলা যাবেনা। ব্যর্থ নেতারা আরও কোন দল গঠন করবেনা এমনটা বলা যাবেনা।
আজিজুর রহমান প্রিন্স, কলামিস্ট, টরন্টো, কানাডা ।