সুনির্দিষ্ট কারণ দেখিয়ে আবেদন করা হলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি সরকার বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
এদিকে, রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই বেগম জিয়াকে মুক্ত করা হবে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন কারাগারে যান গেলো বছরের আটই ফেব্রুয়ারি। এরপর ওই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাত বছরের জেল হয় বেগম জিয়ার। পরের দিন ৩০ অক্টোবর অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আপিলে হাইকোর্ট সাজা বাড়িয়ে দশ বছরের কারাদণ্ড দেন বেগম জিয়াকে। এই সময় একে একে ৩২টি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় বেগম জিয়াকে।
এর মধ্যে দণ্ডিত দুই মামলাসহ ৩১টিতে জামিন পেলেও কুমিল্লার নাশকতার মামলায় হুকুমের আসামি বেগম জিয়ার জামিন আটকে গেলে বিলম্বিত হয় মুক্তি প্রক্রিয়া।
এই অবস্থায় হাইকোর্ট কুমিল্লার মামলায় জামিন দিলেও চেম্বার আদালতে আটকে যায়। এ বিষয়ে শুনানির জন্য রোববার দিন ধার্য রয়েছে। এছাড়া মানহানির আরো একটি মামলাসহ আরো চারটি মামলায় গ্রেফতার রয়েছেন বেগম জিয়া।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি চাইলে সুনির্দিষ্ট একটি কারণ দেখিয়ে আবেদন করতে হবে। কিন্তু, সেই আবেদনটি এখনও আমাদের কাছে আসেনি। আবেদনটি পাওয়ার পরে বিষয়টি আমরা চিন্তা করে দেখবো।’
এদিকে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল দাবি করেন সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা না দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই বেগম জিয়াকে মুক্ত করা হবে বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি।
এদিকে বিনএনপি চেয়ারপার্সনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মিছিল করেছে স্বেচ্ছাসেবক দল। দুপুরে নয়া পল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিলে নেতৃত্ব দেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মিছিলটি কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে কিছুদূর এগিয়ে আবার সেখানেই শেষ হয়।