সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার কোনো পরিকল্পনা নেই, জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। তারা বলছেন, এখন সিদ্ধান্ত রাজপথ থেকেই আসবে।
শনিবার (৩ আগস্ট) আসিফ মাহমুদ তার ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, ‘সরকারের সঙ্গে কোনো প্রকার সংলাপে বসতে আমরা রাজি নই।’
আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, ‘ছাত্র-জনতার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এক দফা এখন সার্বজীনন। এর বাইরে আর কোন আলাপ নেই।’
এর আগে একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন আরেক সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামও। তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।
নাহিদ বলেন, যখন আমরা ডিবি হেফাজতে ছিলাম, তখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমরা এই প্রস্তাবের প্রতিবাদে ডিবি হেফাজতে অনশন করেছিলাম।
জানা গেছে, সমন্বয়কদের সঙ্গে বসার জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটিও করেছে আওয়ামী লীগ। যেখানে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে গণভবনে এটি জরুরি বৈঠক হয়েছে। যেখানে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে একটি সূত্র থেকে জানানো হয়।
এদিকে, দেশে চলমান আন্দোলন ঘিরে কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবে বিক্ষোভ মিছিল করছেন আন্দোলনকারীরা। শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুর ১২টার পরেই আন্দোলনকারীরা সায়েন্স ল্যাবে জড়ো হতে থাকেন। এ সময় তাদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
এর আগে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শনিবার (৩ আগস্ট) সারাদেশে বিক্ষোভ করবে তারা। একইসঙ্গে রোববার থেকে ‘সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি’ ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার (২ আগস্ট) এক ভিডিও বার্তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম