আপনি কি নিরাপত্তা প্রহরীর পরিষেবা সম্পর্কে ভেবে দেখেছেন?
বাংলাদেশের বেসরকারী নিরাপত্তা শিল্প বিগত কয়েক বছরে ব্যাপকভাবে বিকশিত হয়েছে এবংনিরাপত্তা পরিষেবা সরবরাহকারীরা নিরাপদ এবং সুরক্ষিত পরিবেশের জন্য সক্রিয়ভাবে অবদান রাখছেন প্রতিনিয়তই এবং কাজ করে যাচ্ছেন। নিরাপত্তা প্রদান পেশায় যারা জড়িত আছেন তাদের ধারাবাহিক অবদানের জন্য আমাদের সকলেরই উচিত তাদের স্বীকৃতি দেওয়া এবং পেশাকে উপেক্ষিত না করে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো। এই নিরাপত্তা প্রহরীরাই যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সামজিক বিশৃংখলা, সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদী হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা, এবং আপনার আমার জানমাল রক্ষার্থে শুধু প্রথম সারিরই সেবকই নন, হাসিমুখে আমাদের সম্পদ সুরক্ষিত রাখতে প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকেন। নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের পেশাদার মান এবং দক্ষতায় ও দুর্দান্ত প্রচেষ্টায় দেশের এই দুঃসময় কোভিড -১৯ মহামারী সংকটে ও তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন । তাদের এই অবদানের জন্য তারা স্বীকৃতি, শ্রদ্ধা ও প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।
কোভিড -১৯ মহামারীর কারণে গত কয়েক মাস ধরে নিরাপত্তা সেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অথচ তাদের এই ভূমিকা সমাজে অপ্রকাশিত থেকে গিয়েছে সবসময়ই। নিরাপত্তা প্রহরীরা সমগ্র বাংলাদেশে, করোনা টেস্টিং সেন্টার, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল, সুপারমার্কেট, এটিএম বুথ, ব্যাংকগুলিতে নিয়মিত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আপনার হারিয়ে যাওয়া গাড়ির চাবি বা আইডি, টাকা, মুল্যবান জিনিস আপনার কাছে বিশ্বাসের সাথে পৌছে দিচ্ছেন। অফিস থেকে যখন আপনি বের হোন তাদের বলা বাক্য “স্যার আপনার দিনটি সুন্দর হোক” শ্রদ্ধার সাথে তুলে ধরছেন। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের উচিত নিরাপত্তা সেবায় নিয়জিত পেশাদারদের সঠিক মর্যাদা ও স্বীকৃতি দেওয়া। তাদের পেশাদারিত্বের প্রশংসা করুন, কাজের স্বীকৃতি দিন। আপনার কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। সমাজে ব্যাপক অবদান রাখা এই উপেক্ষিত কর্মকর্তাদের মূল্যায়ন দিতে শিখুন । আপনার আমার আমাদের সবার একটু ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, তাদের দিনটি সুন্দর করতে পারে এবং মনে রাখবেন আমাদের দেওয়া সম্মান ও ভালোবাসাই তাদের চলার পথে সাহস ও প্রেরণা যোগাবে।
লেখক
অ্যাডভোকেট মিস.শীপু আক্তার