তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রাশেদুজ্জামান চৌধুরীকে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর পিছনে প্রতিবন্ধী ও এতিমদের প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউট থেকে সাধারণ জনগণ ও সদর উপজেলা চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় দুই নারীসহ হাতে নাতে আটক করে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসককে অবগত করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। গত শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী ও চেয়ারম্যানের বরাতে জানা যায়, প্রতিদিন উপ-পরিচালক রাত ২ টা ৩টা পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়েদের ফুসলিয়ে ও সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদের মদ পান করিয়ে অনৈতিক কাজ করতেন দীর্ঘদিন ধরে। তিনি অনেক সময় মেয়েদের তাঁর সরকারী গাড়িতে নিয়েও ঘুরতেন। এলাকার লোকজন সরকারী উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা হবার কারনে ভয়ে কোনও কথা বলতো না। তারা বিষয়টি চেয়ারম্যানকে অবগত করলে তিনির সহযোগীতায় রাতে দুই জন মদ্যপ অবস্থায় নারী ও তাকে আটক করেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাৎক্ষনি ভাইরাল হয়ে পরে।
৭ নং চাঁদনীঘাট ইউপি চেয়ারম্যান আখতার উদ্দিন জানান, বিষয়টি লোকজন অনেক আগেই তাকে জানিয়েছিলেন। ভয়ে লোকজন কোনও কিছু বলতো না। শুক্রবার রাতে লোকজন তাকে দুইজন নারীসহ আটক করার পর তাঁকে খবর দিলে সেখানে উপস্থিত হয়ে এর সত্যতা পান।
তিনি আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় দুই জন মহিলাকে উদ্ধার করে তাদের পরিবারের মাধ্যমে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং তাকে আটক করে সেখানে লোকজন ঘিরে রেখেছে। তিনি বলেন, উপ-পরিচালক রাশেদুজ্জামান চৌধুরী উনার হাতে-পায়ে ধরে ক্ষমা চাচ্ছে, কিন্তু তিনি তো বিচারের মালিক না। তিনি বলেন বিষয়টি তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসককে জানিয়েছেন তারাই ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
গতকাল শনিবার এবিষয়ে মৌলভীবাজার জেলার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানিয়েছেন, বিষয়টি আমি শুনেছি এর জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। ঘটনায় সাথে জড়িত থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।