যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলায় কৃষিতে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবার সরকারী খরচে সমলয় পদ্ধতিতে ১৫০ বিঘা জমিতে ধান চাষ হয়েছ। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বোরো ধানের সমলয়ে চাষাবাদের ব্লক প্রদর্শনী হিসাবে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঝিকরগাছা। উপজেলার ফতেপুর ব্লক (ফতেপুর ও জাফরনগর) এর ৫৪ জন উপকারভোগী কৃষকের ৫০ একর (১৫০ বিঘা) জমি এ প্রদর্শনীর আওতায় আনা হয়।
সরকারী প্রণোদনা হিসাবে বিঘা প্রতি সিনজেনটা হাইব্রিড ১২০৩ ও ১২০৬ জাতের চিকন ধান বীজ ২ কেজি, ইউরিয়া ৩০ কেজি, ডিএপি সার ২০ কেজি, এমওপি সার ১৭ কেজি, চারা উৎপাদন ট্রে ও মেশিন এর মাধ্যমে চারা রোপন, ব্রি উইডার মেশিনের মাধ্যমে আগাছা পরিষ্কার করন ও কম্বাইন্ড হারভেস্টার এর মাধ্যমে ধান কর্তন করে দেওয়া হয়।
চাষাবাদে প্রযুক্তির ছোয়ায় অনেক খুশি কৃষক। সমলয়ে একক চাষে ধানের রোগ, পোকামাকড় কম হয়েছে এবং নিয়ন্ত্রণ অনেক সহজ বলে জানিয়েছেন সুবিধাভোগী কৃষকরা।
সমলয়ের কৃষক ছাত্তার মিয়া জানান, ‘স্যারেরা ম্যাশিন দিয়ে ধান লাগায় (রোপন) দিছিলেন, সার দিছিলেন, কেটে বস্তা ভরেও দিয়েছেন। কোন টাকা পয়সা খরচ হয়নি আমাদের। সুযোগ থাকলে আমরা আবার চাষ করবো’। কৃষক আব্দুস সালাম জানান, ‘এরাম সিস্টেম আমি আগে দেখিনি। কয়েকঘন্টার মধ্য ধান লাগায় দিলেন আবার পাকলে কেটে বস্তা ভরেও দিলেন। আমাদের তেমন কিছুই করা লাগেনি। সরকার সব খরচ দিয়ে দিয়েছেন।’
ফতেপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো.রোকনুজ্জামান জানান, ‘কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য আমরা সব সময় মাঠ পরিদর্শনে যায়। সার্বিক তদারকিতে এবার ফলন অনেক ভালো হয়েছে।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, ‘বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে অল্প জায়গায় অধিক ফলন নিশ্চিত করতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। কৃষিতে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবারই প্রথম সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ হচ্ছে। অর্থাৎ একসাথে রোপন ও কর্তন যা সম্পূর্ণ যন্ত্র ও প্রযুক্তির সমন্বয়।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি