ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) ও গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি’র (জিএফআই) প্রতিবেদন প্রসঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ‘গালভরা প্রতিবেদন’ সবাই দিতে পারে। কারা কীভাবে কোথায় অর্থপাচার করছে সবকিছু সুনির্দিষ্ট বলতে হবে। তা না-হলে, এই মহাসমুদ্রে দুদক কাকে ধরবে?
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘গালভরা প্রতিবেদন’ সবাই দিতে পারে। তাদের বলতে হবে কোন সরকারি কর্মকর্তা, কোন রাজনৈতিক দলের নেতা দুর্নীতি করছে। কারা কীভাবে কোথায় অর্থপাচার করছে। সবকিছু সুনির্দিষ্ট বলতে হবে। তা না হলে, এই মহাসমুদ্রে দুদক কাকে ধরবে?
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কারা দুর্নীতি করেছে, কোথায় কোন খাতে দুর্নীতি হয়েছে, টাকার অংকে তা কত, এসব যদি প্রতিবেদনে না থাকে তাহলে তা বিশ্বাসযোগ্য হবে না।
তিনি আরও বলেন, নিশ্চয়ই তাদের কাছে ‘ফ্যাক্টস অ্যান্ড ফিগার’ আছে। তবে তাদের প্রতিবেদন এখনও আমরা হাতে পাইনি। তাদেরকে আমরা আগেও বলেছি, প্রতিবেদন তৈরিতে আপনারা কোন্ গবেষণা পদ্ধতি অনুসরণ করেন, আমাদের জানান।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ জানায়, ২০১৮ সালে দুর্নীতির ধারণা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম। এর আগে সোমবার ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জিএফআই তাদের গ্লোবাল রিপোর্টে জানায়, ২০১৫ সালেই বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি।