ক্ষমতার ধারাবাহিকতা থাকলে উন্নয়ন তরান্বিত হয় মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসের ধরন বদলায়নি।’ বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে সুধাসদন থেকে ৫ জেলায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্বাচনী সভায় অংশ দেন শেখ হাসিনা। গোপালগঞ্জ-৩ আসনে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় সমাপ্তি টানেন আওয়ামী লীগ প্রধান। সুধাসদন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে শেষ দিনের নির্বাচনী প্রচারণায় যোগ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। কুমিল্লা, যশোর, টাঙ্গাইল, পাবনা এবং পঞ্চগড়ে ৫টি নির্বাচনী সভায় বক্তব্য দেন তিনি। প্রথমেই কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় কথা বলেন শেখ হাসিনা। এসভায় তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাস ও দুর্নীতিতে অভ্যস্ত বিএনপি জামায়াত তার চরিত্র বদলায়নি।’ নির্বাচনের দিন নেতাকর্মীকে ভোটকেন্দ্র পাহারা দেবার আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেকের নিরাপদে চলতে হবে। একটি সুন্দর পরিবেশ যাতে বজায় রাখে, সেদিকে নজর দিতে হবে। ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে, যাতে ওরা (ঐক্যফ্রন্ট) সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না চালাতে পারে। কারণ ওদের চরিত্র বদলায় নাই। ওরা জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে, মানি লন্ডারিং, এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাসহ আইভি রহমানসহ আমাদের ২২ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল তারা।’ এরপর প্রধানমন্ত্রী একে একে যশোর, টাঙ্গাইল এবং পাবনা জেলার নির্বাচনী সভায় যোগ দেন। প্রতিটি দল নির্বাচনে আসবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘পরপর দু’মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় মানুষের মাঝে আস্থা সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগ।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রত্যেকের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকার রয়েছে। জনগণ নির্ধারণ করবে তারা কাকে ভোট দিবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যেভাবে উন্নয়ন পৌঁছে গেছে, মানুষ এখন উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখে। অবশ্যই আমি বিশ্বাস করি, জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিবে।’ উন্নয়ন ও অগ্রগতি ধরে রাখতে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ প্রধান। তিনি বলেন, ‘মহাজোট প্রার্থীদের নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন। যাতে আমরা যে, উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি তা বাস্তবায়ন করতে পারি।’ নিজ আসন গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়ার নেতাকর্মীদের কাছে ভোট চেয়ে এবারের সংসদ নির্বাচনে প্রচারণার ইতি টানেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।